বর্তমানে ভ্যাসের বাজার প্রায় হাজার কোটি টাকার। ডিজিটাইজেশনের দিকে দেশ এগিয়ে যাওয়ায় এ বাজার আরও বড় হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত নিজেদের লাইসেন্সের মাধ্যমেই গ্রাহকদের ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (ভ্যাস) সেবা দিচ্ছে মোবাইল অপারেটগুলো। তবে সে সুযোগ আর থাকছে না।
টেলিকম সেবার বাইরে গ্রাহকদের ভ্যাসের মতো বাড়তি সেবা দিতে আলাদা লাইসেন্স নিতে হবে।
মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে লাইসেন্স পেতে হলে এ সেবার জন্য আলাদা উইং চালু করতে হবেও বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সব মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে
সম্প্রতি চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেছে।
যত দ্রুত সম্ভব অপারেটরগুলোকে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে অনুমোদন নিতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর ভয়েস, এসএমএস ও ইন্টারনেট সেবার বাইরে অন্য যে কোনো সেবাই
নিয়মানুসারে ভ্যাস বলে উল্লেখ করেছে কমিশন।
অন্যদিকে টেলিকম ভ্যাস বা টিভ্যাস বলে বিটিআরসি’র একটি নীতিমালা রয়েছে। এতে যে কাউকে টিভ্যাস সেবা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে।
টিভ্যাস নীতিমালায় বলা আছে কোনো বিদেশি কোম্পানি টিভ্যাস সংক্রান্ত ব্যবসার ৭০ শতাংশের বেশি মালিক হতে পারবে না। স্থানীয় পর্যায় থেকে নূন্যতম ৩০ শতাংশ মালিকানা থাকতে হবে।
তবে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর জন্য নীতিমালায় এটি ‘বিশেষ’ সুযোগ রাখা হয়েছে। এটির আওতায় অপারেটরগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।