দুপক্ষের বিরোধের বলি চলাচলের রাস্তা

নামফলকে মুক্তিযোদ্ধার দেয়ায় একটি নির্মিত রাস্তা কেটে জমিতে রূপান্তর করা হয়েছে । এই নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মোহচেনা পাড়া গ্রামে।

জানা যায়, এলাকার স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস সবুর ও ২ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মহিলা সদস্য হাছিনা বেগমের বাড়ির লোকজনের চলাচলের একমাত্র সড়কটি সম্প্রতি এলজিপিএস থেকে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে ব্রিক সলিন দ্বারা উন্নয়ন করা হয়। কিন্তু নামফলকে একটি নামকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে প্রকাশ্যে রাস্তা কেটে জমি তৈরি করেছে স্থানীয় একটি চক্র। এঘটনায় কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদেরকে হুমকি ধমকি প্রদর্শন করছেন ঐ চক্রটি।

জানা যায়, উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মোহচেনা পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস সবুর সড়ক দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় গ্রামবাসী যাতায়ত করে আসছেন। কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার জন্য জনসাধারণ প্রশাসন ও চেয়ারম্যান মেম্বারের নিকট দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি উক্ত কাঁচা সড়কটি ব্রীকসলিং করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পরিমাপ করে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়। তারপর ব্রীকসলিংয়ের কাজ চলে শেষ হয়।

অভিযোগে প্রকাশ, রাস্তাটি ব্রীকসলিং করার পর নামফলক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস সবুর এর নাম দেওয়ার কারণে আক্রোশমূলক নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। এক পর্যায়ে প্রকাশ্যে শ্রমিক দিয়ে গত ১৭ই নভেম্বর এ রাস্তার দু’পার্শ্বে প্রায় ৩ ফুট কেটে ফেলে। এর ফলে গ্রামবাসী ও পথচারীদের যাতায়ত এবং পরিবহনে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ৪/৫ চওড়া পুরানো একটি রাস্তা যা ব্রীকসলিং দ্বারা উন্নয়ন করা থাকলেও ৪০/৫০ ফুট রাস্তার পশ্চিম পাশে ২ফুট করে ইট তুলে ফেলে রাস্তার মাটি কেটে মাঠির সমান করার দৃশ্য দেখা যায়। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর সবুর সড়ক নামের নামফলক ভাঙ্গা রয়েছে।

স্থানীয় আব্দুল,মোঃ শফিউল আজম,তহিদুল আলমসহ অনেকেই জানান, অনেক পুরানো ছিল এ রাস্তাটি। এ রাস্তা দিয়ে অনেকেই চলাচল করে মদনহাট কিংবা কাটিরহাট যাওয়ার সহজ মাধ্যম হিসেবে আমরা ব্যবহার করে আসছি।
তারা জানান, স্থানীয় সুলতান আহমদের পুত্র আলী আহমদ, আলী আকবরের পুত্র হামিদুল ইসলাম ইমতিয়াজ ও আজিজুল হকের পুত্র বাবরের নেতৃত্বে প্রায় দৈঘ্য ২শ ফুট পযর্ন্ত রাস্তাটি কেটে ছোট করা হয়েছে।

এদিকে রাস্তা কেটে ফেলার ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া জানান, তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন।
সচেতন নাগরিক সমাজ গ্রামীণ রাস্তা কেটে ফেলার ঘটনাটি সরজমিন পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও উন্নয়ন কাজটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।