অনেক বাবা-মাই আজকাল সন্তানদের বায়না মেটাতে বা তাদেরকে শান্ত রাখতে হাতে স্মার্টফোন বা ট্যাব দেন। কিন্তু এটা সবারই জানা উচিত আজকের দিনে প্রযুক্তির মতো প্রয়োজনীয় অথচ ভয়াবহ জিনিস আর নেই৷ অথচ প্রযুক্তির দুষ্টচক্র থেকে কারও পালাবার পথ নেই৷ তবে সময় থাকতে সন্তানের গ্যাজেট ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারিত করে দেওয়া উচিত। এজন্য কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পানে। যেমন-
নিজেকে বদলান : ছোটরা সবচেয়ে বেশি শেখে বড়োদের দেখে৷ আপনি নিজেই যদি সর্বক্ষণ ল্যাপটপ বা ফোনে বাঁধা পড়ে থাকেন তাহলে আপনার সন্তানও তাই শিখবে৷ বরং সন্তানের সামনে বসে বই পড়ুন যাতে সে আপনাকে দেখে শেখে৷
ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনুন : আপনার সন্তান হয়তো দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টা ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস ব্যবহার করে। তাকে৷ বকাঝকা বা মারধর করে সেটাকে কমিয়ে আনতে পারবেন না। বরং খুব বুদ্ধি করে আস্তে আস্তে সময়সীমা কমাতে থাকুন৷
নো-টেক জ়োন : নিজের বাড়িতে নো-টেক জ়োন তৈরি করুন৷ সন্তানকে বলুন ডাইনিং রুমে কোনও গ্যাজেটস থাকবে না৷ খাওয়ার টেবিলে ফোন নিয়ে বসবেন না৷ বরং প্রাণ খুলে আড্ডা দিন৷ নিজের ঘরে এবং সন্তানের ঘরে কোনও টিভি রাখবেন না৷
একসঙ্গে সময় কাটান : ঘরের মধ্যে বা বাইরে, যেখানেই হোক সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান৷ তাকে গল্প শোনান বা তার কাছ থেকে গল্প শুনুন৷ তার সঙ্গে খেলা করুন, কুইজ় করুন৷
প্রযুক্তি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার নয় : বাচ্চা কাঁদলে, বায়না বা জেদ করলে তার সামনে ফোন খুলে ধরবেন না৷ বরং তার সঙ্গে এমন কোনও খেলা খেলুন যেটা তার বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করবে৷ তাহলে তার আসক্তিও কমবে।