ইউক্রেন সংকট ঘিরে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ারসে শিল্পোন্নত দেশগুলোর গ্রুপ২০ সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্বের শক্তিশালী দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে এ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
বৈঠক বাতিল হওয়ায় রুশ-মার্কিন সম্পর্কে নতুন করে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প বলেন, ক্রিমিয়ার কাছে রোববার ইউক্রেনের নৌবাহিনীর জাহাজে রুশ বাহিনীর গুলিবর্ষণ এবং জাহাজ জব্ধ করে নাবিকদের আটক করার ঘটনায় তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করলেন।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজের বলে অন্তর্ভুক্ত করে নেয় রাশিয়া। ট্রাম্প এমন একটি সময় এসে এ সিদ্ধান্ত নিলেন, যখন ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের কার্যক্রম আরও জোরালো হয়েছে।
রাশিয়ায় ট্রাম্পের প্রস্তাবিত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি নিয়ে কংগ্রেসের কাছে মিথ্যা বলায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন অপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
টুইটারে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া থেকে জাহাজ ও তার নাবিকরা এখনও ইউক্রেনে ফিরে আসেননি। এ ঘটনার ওপর ভিত্তি করে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আর্জেন্টিনায় সবপক্ষের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করাই ভালো হবে।
এ পরিস্থিতির সমাধানের পর ফের একটি অর্থবহ বৈঠকের প্রত্যাশায় রইলাম বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। যদিও এর এক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন- সম্মেলনকালে তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
তবে গত রোববার ইউক্রেনের তিনটি জাহাজের দিকে রুশ বাহিনীর গুলিবর্ষণ এবং সেগুলো আটক করার ঘটনার পরপরই ওয়াশিংটন পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিল।
অবৈধভাবে জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগ তুলে রাশিয়া রোববার কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের দুটি গানবোট ও একটি টাগবোট জব্দ করে।
এ ঘটনায় কিয়েভ মস্কোর বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ তুললেও ক্রেমলিন বলছে- আগে থেকে না জানিয়ে তাদের জলসীমায় গানবোট পাঠিয়ে ইউক্রেন ইচ্ছা করেই যুদ্ধপরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।