অগ্নিকান্ডে স্বামী হারানো দুই বাচ্চার মায়ের করুন আকুতি!

স্বামীকে মাটি দিয়ে ৫ দিনের মাথায় দুটি নিষ্পাপ ও অসুস্থ বাচ্চা নিয়ে ঢাকা আসতে হয়ে‌ছে। আমার আপনজনরা আমাকে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছে। এখন দুটি বাবুকে নিয়ে আমার রাস্তায় যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। জমিজমা কিংবা ব্যাংকে টাকা কোনো কিছুই আমার নেই। শ্বশুরবাড়িতেও তেমন কোনো জায়গা-জমি নেই। ওর বাবার অংশে শুধু একটি রুম রয়েছে।

২০১৫ সালের ২১শে আগস্ট পারিবারিকভাবে কাওসারের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। কাওসার মুক্তার চাচাতো ভাইয়ের বন্ধু ছিল। মুক্তার বাবার বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া। আট ভাই বোনের মধ্যে বোনদের সবার ছোট সে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১ মাস আগে দুই বাচ্চাকে অনুদান দেয়ার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত কিছুই পাইনি। আমার কিছু লাগবে না। দুটি বাবুকে যদি একটু সাহায্য করা হয় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরদিন ঋণী থাকবো। ওদেরকে নিয়ে আমি খুব বিপদে আছি। খুব কষ্টের মধ্যে দিনগুলো যাচ্ছে।

অনুদান পাওয়ার আশায় এখনো আছি। সামনে আমার পরীক্ষা। কবে পরীক্ষার শেষ হবে আর কবেই বা সার্টিফিকেট হাতে পাবো ও চাকরির আবেদন করবো। মাঝের এই দিনগুলো কীভাবে দুই বাচ্চাকে নিয়ে পার করবো? বাচ্চাদের এবং আমার খাবার খরচ কীভাবে যোগাবো সেই রাস্তা খুঁজে পাচ্ছি না।

প্রথম দিকে ৫শ, ১ হাজার টাকা দিয়ে অনেকে সাহায্য করেছে। সেই টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা চুড়িহাট্টার বাসা ভাড়া দিয়েছি। বাকি যে সামান্য কিছু টাকা আছে, সেটা দিয়ে এখন চলছি। মাঝে বাচ্চাদের বাবার এক বন্ধু এসে বাজার করে দিয়ে গেছে। কেউ যদি আমার বাচ্চা দুটির স্থায়ী দায়িত্ব নিতেন, তাহলে হয়তো চিন্তামুক্ত থাকতাম।

উল্লেখ্য, ২০শে ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কাওসার আহমেদ নিহত হন। কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ছেলে কাওসার। চকবাজার এলাকার আল মদিনা ফার্মেসি নামে একটি ওষুধের দোকান ছিল তার। লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের হাল ধরতে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষে বড় চাকরি করবেন। সেই স্বপ্ন আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে তার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছিলেন ১৭তম