প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে মানুষ শান্তিতে আছে, উন্নয়নের জোয়ার বইছে। পরিকল্পিত কাজ করে জনগণের আস্থা এবং বিশ্বাস অর্জন করেছি। সেই আস্থা আর বিশ্বাস থেকেই আওয়ামী লীগ এবারও সরকার গঠন করেছে।
শুক্রবার বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, জনগণ উন্নয়ন চায়, শান্তি চায়। সুন্দরভাবে বাঁচতে চায়। আমরা দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। তাতে আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা আর বিশ্বাস অর্জন করেছে। এজন্যই আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন পরপরই আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা দেখে আসছি চৈত্র-বৈশাখ মাসে আগুন লাগার প্রবণতা বেশি থাকে। তবে কোথাও আগুন লাগলে কিছু লোক খামাখা সেখানে ভিড় জমায়। এতে ফায়ার সার্ভিসের কাজে বিঘ্ন ঘটে। আবার ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে একটু দেরি হলে তাদের মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। দাঁড়িয়ে থেকে সেলফি তোলার কাজেও অনেকে ব্যস্ত থাকে। এখানে সেলফি তোলার কী আছে বুঝলাম না। এ ধরনের মানসিকতা পরিহার করা উচিত। সেলফি না তুলে তারা কয়েক বালতি পানি আনলে উপকার হতো।
বিন্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা স্থাপনা নির্মাণ করেন সেখানে পানির সুবিধা অছে কি না, আগুন নেভানোর জন্য যথেষ্ঠ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে কি না ইত্যাদি তাদের দেখা উচিত। যারা স্থাপনা নির্মাণ করেন সেই স্থাপনা রক্ষা করার দায়িত্বও তাদের। বেশি লাভ করতে গিয়ে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনবেন না। তাছাড়া যারা ওই স্থাপনায় ভাড়া থাকে তাদেরও সর্বনাশ করবেন না।
\অগ্নিকাণ্ডের স্থানে উৎসুক জনতার ভিড়ের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস যখন অগ্নিনির্বাপণে যায়, তখন সেখানে অহেতুক মানুষের ভিড় উচিত নয়। তিনি বলেন, বনানীর আগুন নেভানোর সময় উত্তেজিত মানুষ ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছে। একেকটা গাড়ির দাম আট থেকে দশ কোটি টাকা। দেরি হচ্ছে কেন সেই জন্য ফায়ার সার্ভিসের লোকদের মারছে। সেটা না করে এক বালতি পানি এনে নেভানোর চেষ্টা করতে পারতো।’