একটি প্রজন্ম বিকৃত ইতিহাস জেনে বড় হয়েছে

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একটি প্রজন্ম বিকৃত ইতিহাস জেনে বড় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে নগরের পাঁচলাইশে প্রবর্ত্তক সংঘের নতুন ৬তলা ৫০০ ছাত্রীর আবাসিক হোস্টেল ‘মৈত্রেয়ী’ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, সমাজে আলোকিত মানুষ হিসেবে সন্তানদের গড়ে তুলতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু সরকারের দিকে না তাকিয়ে নাগরিকদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে। অনেকে সংকীর্ণতার পরিচয় দেন।

মেয়র বলেন, এক-এগারোর সময় চউক প্রবর্ত্তক সংঘের জায়গায় সড়ক নির্মাণ করেছে। তথ্যমন্ত্রী পূর্তমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন। ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার কারণ নেই।

তিনি বলেন, প্রবর্ত্তক সংঘের বর্তমান নেতৃত্বের দক্ষতায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। একসময় জীর্ণ ছিল। আর্থিক সংকট কাটাতে আয়বর্ধক প্রকল্প, সরকারের সুদৃষ্টির কারণে সংঘের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সংঘের সড়কটি পাকা করে দেওয়া হবে। আমার অনুরোধ আপনাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বাড়াবেন। তাহলে কয়েকটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিযুদ্ধ হবে না।

সংঘের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র লালার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী।

তিনকড়ি চক্রবর্তী বলেন, অসচ্ছল অনগ্রসর মানবসম্পদ ও প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে শতবর্ষ ধরে কাজ করছে প্রবর্ত্তক সংঘ। ৫০০ ছাত্রীর জন্য মৈত্রেয়ী ভবন নির্মাণে সাড়ে ৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। টিচার্স ডরমেটরি নির্মাণে খরচ হবে দেড় কোটি টাকা। বর্তমানে ৫০২ জন অনাথ রয়েছে প্রবর্ত্তকে। এর মধ্যে ১১৫ জন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর।

তিনি বলেন, ডা. আফছারুল আমীন এমপির সহায়তায় প্রবর্ত্তক স্কুল কলেজে উন্নীত হয়েছে। এটিকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে চাই।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংঘের সহ-সভাপতি প্রফেসর রণজিৎ কুমার ধর, শুলকবহর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোরশেদুল আলম।

রণজিৎ কুমার ধর বলেন, প্রবর্ত্তকের বার্ষিক ব্যয় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর ১২ শতাংশ আসে সরকারের কাছ থেকে। ২০টির বেশি মামলা আছে। তাই সংঘের খরচ ক্রমে বাড়ছে। আমাদের নিজস্ব মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে কমিটি গঠিত হয়েছে। যাতে পুরো সমাজ উপকৃত হয়।

‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের সঙ্গে ফলক উন্মোচন করে নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী।

ঋষি অরবিন্দ ও মতিলাল রায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্কিম চন্দ্র সেন, হেম চন্দ্র রক্ষিত, বীরেন্দ্র লাল চৌধুরী প্রমুখ ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্ত্তক সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫০ সালের ৪ অক্টোবর ২০০ ছাত্রীর প্রথম আবাসিক হোস্টেলের ভিত্তি স্থাপন করেন নেলী সেনগুপ্তা।