শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্ল্রাহ, এস আই সাইমুল ইসলাম, এস আ্ই আমজাদ হোসেন চৌধুরী, এ এস আই সালাম সহ পুিলশের একটি দল গত ২৮ মার্চ দিবাগত রাতে ১১টা ৪৫ মিনিটের সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে সাড়াশী অভিযাণ চালিয়ে রাউজানের ৩নং চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিন সর্তা মঙ্গল চাদঁ তালুকদার বাড়ী থেকে রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রকাশ বাচাইয়্যা (৫৫ ) কে আটক করে । শীষ সন্ত্রাসী বাচাইয়্যাকে আটক করার পর পলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সন্ত্রাসী বাচাইয়্যার দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে সন্ত্রাসী বাচাইয়্যার বসত ঘরের খাটের নিচে থেকে তিনটি বন্দ্বুক ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্বার করে পুলিশ । রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্ল্রাহ ও এস আই সাইমুল ইসলাম, এস আই আমজাদ হোসেন চৌধুরী জানান শীর্ষ সন্ত্রাসী বাচাইয়্যাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে তার বাড়ী থেকে আটক করার পর তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুসারে তার ঘরের খাটের নিচ থেকে ৩টি বন্দ্বুক ও ৬ রাউন্ড কাতুর্জ উদ্বার করা হয় । রাউজানের শীষ সন্ত্রাসী বাচাইয়্যা অধুনালুপ্ত এনডিপি ক্যাডার ছিলেন । সন্ত্রাসী বাচাইয়্যা ও তার সহযোগি সন্ত্রাসী মাসুদ, এখতোয়্রা উদ্দিন সুনইক্যা সহ বাচাইয়্যার সহযোগিরা রাউজানে হত্যা অপহরন, চাদাঁবাজি, ষংখালঘু সম্প্রদায়ের নারীদের ধর্ষন সংগঠিত করে উত্তর রাউজানের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখে । সন্ত্রাসী বাচাইয়্যা ও তার সহযোগি সন্ত্রাসীরা গত ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় অধিষ্টিত হলে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় ফাসিতে ঝুলিয়ে মৃতুদন্ড দেওয়ার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্দেশে রাউজানের গহিরায় শওকতের মালিকানাধীন গোল্ডেন ফার্নিসার, নোয়াজিশপুরের ফতেহ নগর দানু মিয়া সওদাগারের মুদির দোকান আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় । সন্ত্রাসী বাচাইয়্যা ও তার সহযোগি সন্ত্রাসীদের হামলায় গহিরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সিরাজুল হককে পশ্চিম গহিরা ব্রীক ফিল্ড এলাকায় হত্যার উদ্যোশে গুলি করে । মরহুম সিরাজুল হক তখন প্রাণে বেচেঁ গেলে ও গুলিথে তার দু পা ঝাঝড়া করে দেওয়ায় তার দুটি পা কেটে ফেলতে হয় । দু পা হারিয়ে গহিরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হক পঙ্গুত্ববরন করে । পঙ্গুত্বরন অবস্থায় পরে মৃত্যুবরন করেন । রাউজানের শীষ সন্ত্রাসী বাচাইয়্যা ও তার সহযোগি সন্ত্রাসীরা চাদাঁবাজি, ডাকাতি, অপহরন করে এলাকার লোকজন শধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে । গত ২০০৪ সালে অপরেশন ক্লিন হার্ট চলাকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসী বাচাইয়্যাকে এক ৪৭ রাইফেল ও বিপল পরিমান অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে । সেনাবিাহিনীর হাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহ গ্রেফতার হওয়ার পর সন্ত্রাসী বাচাইয়্যা জেলে থাকাবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীর বদরপাতির শীষ সন্ত্রাসী জসিমের কাছে তার কাছে থাকা আরো একটি একে ৪৭ রাইফেল তার সহযোগিদের মাধ্যমে বিক্রয় করে । গত ২০০৯ সালে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী বাচাইয়্যা আত্ণগোপনে চলে যায় । শীষ সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম বাচাইয়্যা ও তার সহযোগিরা চিকদাইিরের প্রভাবশালী প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতার সহায়তায় চট্টগ্রাম নগরী, ঢকায় ও রাউজানে ঘুরে বেড়ালে ও প্রভাবশালী প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতার ভয়ে তাকে কেউ পুলিশকে ধরিয়ে দিতে সাহস পায়নি বলে এলাকার লোকজন জানান । রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্ল্রাহ জানান রাউজানের শীষ সন্ত্রাসী বাচাইয়্যার বিরুদ্বে অস্ত্র আইনে একটি মামলায় ১৭ বৎসরের সাজা রয়েছে । সন্ত্রাসী বাচ্যাইয়ার বিরুদ্বে রাউজান, নগরীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অপহন ও অস্ত্র আইনে ১০টি মামলা রয়েছে । গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সন্ত্রাসী বাচাইয়্যাকে গ্রেফতার করার পর তার দেওয়া তথ্য মতে থার ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্বার করা অস্ত্র নিয়ে রাউজান থানায় গতকাল ২৯ মার্চ শুক্রবার সন্ত্রাসী বাচাইয়্যার বিরুদ্বে আরো একটি অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয় বলে পুলিশ জানায় । রাউজানের ৩নং চিকদাইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী বলেন শীষ সন্ত্রাসী বাচাইয়্যা চিকদাইর ও পাশ^বর্তী এলাকায় অনেক নারীকে ধর্ষন করে । লোকলজ্জার ভয়ে ও বিএনপি জামাত জোট সরকারের শাসন আমলে অথ্যাচর ও নির্যাতনের ভয়ে ধর্ষিতা নারীর পরিবারের সদস্যরা কারো কাছে মুখ খুলেনি ও থানায় মামলা করার সাহস পায়নি । গতকাল রাউজান থানা পুলিশের হাতে আটক শীর্ষ সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম বাচাইয়্যা সাংবাদিকদের কাছে ষ¦ীকার করে বলেন, আমরা কাছে থাকা এক ৪৭ রাইফেল চিল ২টি ২০০৪ সালে সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ার সময়ে একটি একে ৪৭ রাইফেল একটি পিস্তল সেনাবিাহিনীর সদস্যরা আমার কাছ থেকে উদ্বার করে । জেলে থাকাবস্থায় আমার কাছে থাকা আরো একটি একে ৪৭ রাইফেল চট্টগ্রাম নগরীর সন্ত্রাসী জসিমের কাছে আমার সহযোগিদের মাধ্যমে বিক্রয় করি । ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাদের মামলায় মৃত্যুদন্ড দেওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীকে ভোট কেন্দ্রে অপমান করায় ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে তৎকালীন বিএনপির প্রভাব শালী তো সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্দেশে গহিরা গোল্ডেন ফার্নিসার ও নোয়াজিশপুরের দানু মিয়া সওদাগরের মুদির দোকান আৃগুণ লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছি । রাউজানের শীষ সন্ত্রাসী বাচাইয়্যাকে গতকাল রাউজান থানা পুলিশ আদালতে সোর্পদ করে । শীষ সন্ত্রাসী মোহামামদ রফিকুল ইসলাম প্রকাশ বাচাইয়্যা রাউজানের চিকদাইর ইউনিয়নের দক্ষিন সর্তা মঙগলচাদ বাড়ীর মৃত আবদুর রহমানের পুত্র ।