বঙ্গবন্ধুর জীবনচরিত শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান

মহাকালের মহানায়ক বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, রাজনীতির মহাকবি, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০ তম জন্মদিন ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে ১৭ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ও মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের সকলকে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবংজাতির জনকের ১০০ তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন। এরপর ‘বিশ^নেতা শেখ মুজিব’ শীর্ষক শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন এবং প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর ভাষণে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশলক্ষ শহীদ, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতক হায়েনাদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত দু’লক্ষ জায়া-জননী-কন্যার প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেন। মাননীয় উপাচার্য ক্ষণজন্মা এই মহান নেতার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতিকেই একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দেননি তিনি বিশে^র নিপীড়িত নির্যাতিত গণ মানুষের মুক্তির পথ প্রদর্শক। তাইতো তিনি ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ বিশ^নেতা শেখ মুজিব।মাননীয় উপাচার্য আমাদের প্রাণপ্রিয় শিশুদেরকে জাতিরজনকের আদর্শিক চেতনায় উজ্জীবিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ করে সকল প্রকার অশুভ-অন্ধকারের শক্তিকে নিধন করে আলোর পথের দিশারী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সম্মানিত অভিভাবকদের আহবান জানান।
মাননীয় উপাচার্য অতিথিদের সাথে নিয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ঘুরে দেখেন। পরে মাননীয় উপাচার্য জাতির জনকের শততম জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু চত্বরে ২টি ফুলের চারা রোপন করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি-উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন চ.বি. কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্ম মামুন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) জনাব দিবাকর বড়–য়া।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সূচিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্লে-গ্রুপ থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ১০০০ জন শিশু অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, প্রভোস্টবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় সভাপতি এবং ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির সদস্যবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ এবং শিশুদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।