বুড়িগঙ্গায় নৌকা ডুবি: ৪ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক: ঢাকার সদরঘাটে বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া নৌকায় থাকা ৪ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছেন ডুবুরিরা।

শনিবার তৃতীয় দিনের মতো নদীতে এখনো চার জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশ।

নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক শনিরার সকাল ৮টার দিকে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর বরাবর নদী থেকে মাহি (৬) নামে একটি শিশুর মরদেহ পাওয়ার কথা জানান।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রাশেদ সিকদার বলেন, দুপুরে দেলোয়ার (২৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (৬ মাস) এবং মাহির বোন মিম (৮) নামে আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, মিম ও মাহির মা সাহেদা বেগম (৩২) এখনও নিখোঁজ রয়েছে তাকে উদ্ধারে কাজ চলছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে নৌকাটি ডুবে ছয় জন নিখোঁজ হন, গত শুক্রবার এক নারীর মরদহে উদ্ধার করা হয়।

নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, শনিরার সকাল ৮টার দিকে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর সামনে নদী থেকে মাহির (৮) নামে শিশুটির মরদেহ যাওয়া যায়।

নৌদুর্ঘটনায় আহত পোশাক শ্রমিক শাহজালালের মেয়ে মাহির।

চাচাত বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নিজের ও বোনের পরিবারকে নিয়ে শরীয়তপুর যেতে বৃহস্পতিবার কামরাঙ্গীরচর থেকে নৌকায় করে সদরঘাট যান শাহজালাল। পেছন থেকে লঞ্চে ওঠার সময় ঢেউয়ের তোড়ে নৌকাটি উল্টে ডুবে।

বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নৌবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ওই নৌকার যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত লঞ্চের পেছন দিক দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু লঞ্চ তখন পেছন দিকে যাওয়ায় ট্রলারের ঢেউয়ের ধাক্কায় ছোট নৌকাটি ডুবে যায়।

নৌকার মাঝি ছাড়া বাকি সবাই ডুবে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শাহজালালকে।

নৌপুলিশ কর্মকর্তা রাজ্জাক জানান, লঞ্চের প্রপেলারের আঘাতে শাহজালালের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নৌ পুলিশের টহলদল তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

শুক্রবার দুপুরের দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় নদী থেকে শাহজালালের বোন জামশেদার (২১) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।