‘সমকালিন রাজনীতিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ড. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সমকালিন রাজনীতিতে বাংলাদেশের সব চেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রাজনীতির প্রতীক এবং দেশের ভবিষ্যত কান্ডারী। তারেক রহমান দুরদর্শি, অক্লান্ত পরিশ্রমি, প্রজ্ঞা ও ক্যারিশমাট্কি ব্যক্তিত্ব। তার জনপ্রিয়তাই ঈষান্বিত হয়ে আওয়ামীলীগ সরকার তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মঈন উদ্দিন-ফকরুদ্দিন এর ১/১১ সরকারের সময় দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেটে পরিণত হন তারেক রহমান।

২০০৭ সালের ৭মার্চ গ্রেফতারের পর কারাগারে নিষ্ঠুর নির্মম নির্যাতনের মধ্যে একটানা ১৮ মাস কারাবাস করতে হয়েছে তাকে। ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি হিংসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন চালিয়ে তারেক রহমানের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। গ্রেফতারের পর রাষ্ট্রীয় সর্বশক্তি দিয়ে টাক্সফোর্স, এনবিআর, দুদক সহ সরকারের সব সংস্থাই দেশে-বিদেশে তন্ন-তন্ন অনুসন্ধান করে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিটি মিথ্যা মামলাই ছিল রাজনৈতিক প্রতি হিংসার। জনগণের ভালোবাসায় তারেক রহমান অচিরেই বীরের বেশে বাংলাদেশে ফিরে আসবে। তিনি আজ ৭মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে তারেক রহমানের ১৩ তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, তারেক রহমান দেশব্যাপী দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকের সাথে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছিলেন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও তৃণমুল পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে গভীর সেতুবন্ধন নির্মাণ করতে তৃণমুল সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। এর মধ্যদিয়ে একটি সুসংঘবদ্ধ বিএনপি গড়ে উঠে এবং নেতাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পায়। তিনি ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে যেভাবে তৃণমুলে দলের শেকড় প্রোথিত করেন তাতে অশুভ রাজনৈতিক শক্তির পায়ের তলা থেকে মাঠি সরতে থাকে। এর ফলে ষড়যন্ত্রকারীরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। আলোচনা সভার আগে দলীয় কার্যালয় জামে মসজিদে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য মোঃ শামছুল হক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাঈনুদ্দিন মোঃ শহীদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. এস.এম সরওয়ার আলম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম বাচ্চু, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, নগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, বায়েজীদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, নগর বিএনপির সদস্য ইউসুফ সিকদার, শাহেদা বেগম, রেজিয়া বেগম মুন্নি, বিএনপি নেতা সৈয়দ জাকারিয়া সেলিম, কবি আল সিরাজী, মোঃ সেকান্দর, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খাজা আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ এমরান, নগর যুবদলের সহ-সভাপতি নাসিম চৌধুরী, ম হামিদ, মিয়া মোঃ হারুন, ফজলুল হক সুমন, যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ হোসেন, নগর তাঁতীদল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, এড.জায়েদ বিন রশিদ, এড. ইকবাল হোসেন, এন আই চৌধুরী মাসুম, মনির উদ্দিন চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়া, নাজিম উদ্দিন খান, সাজ্জাদ হোসেন খান, মোঃ ইসকান্দর, মোস্তাকিম, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার উদ্দিন নিবলু, ডা. আরফান খান নিবির, মোঃ মিলটন, তারেকুল ইসলাম তানভির, মোঃ মোহন, শফিউল আলম, দেলোয়ার হোসেন শিশির, কামরুল ইসলাম কুতুবি, এন মুহাম্মদ রিমন, রেজাউল করিম, মোঃ শাহরিয়ার, মোঃ শাওন, মুন্না, যুবদল নেতা মোঃ ইসহাক, মোঃ ইদ্রিস, মোঃ লিটন, মোঃ রুবেল, মোঃ সুমন প্রমুখ।