শুভ জন্মদিন রুনা লায়লা

উপমহাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী ও সুরকার রুনা লায়লা’র ৬৮তম জন্মদিন আজ। জন্মদিন উপলক্ষে দিনটি সাধারণত বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়েই উদ্‌যাপিত হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে জন্মদিনটিকে ঘিরে কোনো আয়োজনই থাকছে না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি। জন্মদিন উপলক্ষে ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে আজ প্রকাশিত হবে রুনা লায়লা’র সুরে ‘এই দেখা শেষ দেখা’- শিরোনামের একটি গান। এটি লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সংগীতায়োজন করেছেন রাজা ক্যাশেফ। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লুইফা।
এই কিংবদন্তির জন্মদিন উপলক্ষে ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে ক্রমান্বয়ে আরো তিনটি গান প্রকাশিত হবে। রুনা লায়লা প্রথম সুর করেন আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমায়। জন্মদিনে রুনা তার ভক্ত ও সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। মহামারি এই করোনা থেকে মুক্ত হয়ে সবাই নতুন পৃথিবী দেখবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি। ১৯৫২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীত শিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীত শিল্পী। দীর্ঘ সংগীত জীবনে ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন তিনি। কুড়িয়েছেন উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা। তার ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’ গান উপমহাদেশ বিখ্যাত। পাকিস্তানের ‘জুুগ্নু’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও। দীর্ঘ সংগীত জীবনে ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কারে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার। এ ছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক। নব্বইয়ের দশকে গিনেস বুকে স্থান পান এই শিল্পী।