আকবর হোসেন গ্রেফতার

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে আখালিয়া এলাকার রায়হান আহমদের মৃত্যুর এক মাসের মাথায় গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত ওই ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় জেলা পুলিশের একটি দল কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। প্রথমে স্থানীয় খাসিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে তিনি আটক হন। পরে পুলিশ দ্রুত গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আকবরকে সিলেট জেলা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে আসার জন্য পুলিশের একটি দল তাকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

স্থানীয় খাসিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে আটকের সময় সাময়িক বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হাতজোড় করে কাঁদছিলেন। এ সম্পর্কিত ভিডিও ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।

এসব ভিডিওতে দেখা যায়- একটি পাহাড়ি ছড়ায় পাথরের উপর আকবর হোসেনকে বসিয়ে রেখে হাত-পা বাঁধছেন কয়েকজন যুবক। এ সময় আকবর হোসেন হাতজোড় করে কাঁদছিলেন এবং তার হাত-পা না বাঁধার জন্য অনুরোধ করছিলেন। কেঁদে কেঁদে আকবর বলছিলেন- আমি রায়হানকে মারিনি। অসুস্থ হওয়ার পর আমি তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ‘আমি বাঁচব না’ বলেও এ সময় অনুনয় করতে দেখা যায় আকবরকে।

এরপর আকবরের হাত-পা বেঁধে পাহাড়ি ছড়া দিয়ে তাকে হাঁটিয়ে নিয়ে আসেন ওই যুবকরা।

সিলেটের এএসপি আবদুল করিম সাংবাদিকদের জানান, ভারতে পালানোর সময় কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ সীমান্ত এলাকা থেকে আকবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪)। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।

এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী। স্ত্রীর দায়ের করা মামলাটির তদন্ত করছে পিবিআই।