দুইজন কিশোর অপরাধী আটক

সিএনজি অটোরিকশায় যাত্রী বেশে উঠে এক ব্যক্তির ১ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় চার কিশোর অপরাধী। ছিনতাইয়ের ঘটনার পর ভুক্তভোগী টহল পুলিশকে ঘটনা জানালে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে কিশোর অপরাধীদের দুইজনকে আটক করে।

পলাতক দুইজনকে ধরতে পুলিশ যখন অভিযান চালায় পুলিশকে এ কাজে সহযোগিতা করে এক কিশোর অপরাধীর বাবা। বাবার সহযোগিতায় অপরাধী ছেলেকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়। ওই কিশোর অপরাধীর বাবা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য।

এমন ঘটনা ঘটেছে বাঁশখালী থানাধীন পালেগ্রাম এলাকায়। অপরাধী ছেলেকে ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করেছেন সাধনপুর ইউপির বৈলগাঁও ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ফেরদৌসুল হক।

ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক তিনজন হলো-সাধনপুর বৈলগাঁও এলাকার ফেরদৌসুল হকের ছেলে তানজিদ উল হক (১৬), বাণীগ্রাম এলাকার হাছান মনছুরের ছেলে মিজবাউল হক (১৮) ও সেলিমের ছেলে আকিব (১৬)। এদের মধ্যে ফেরদৌসুল হক বৈলগাঁও ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) রেজাউল ক‌রিম মজুমদার বলেন, পালেগ্রাম এলাকায় এলাকায় সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী মিজানুর রহমানকে ছুরির ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। পরে মিজানুর রহমানকে সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। মিজানুর রহমান টহল পুলিশকে জানালে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে।

ও‌সি রেজাউল ক‌রিম মজুমদার বলেন, পরে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত অপর দুইজনকে ধরতে গেলে একজনের বাবা যিনি ইউপি সদস্য তিনি ছেলেকে ধরতে আমাদের সহযোগিতা করেন। ওই ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় তার অপরাধী ছেলেকে আমরা আটক করি। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ও‌সি রেজাউল ক‌রিম মজুমদার।

বাঁশখালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. হাসান তারেক বলেন, ছিনতাইকারীরা সিএনজি অটোরিকশায় চারজন ছিল। এদের মধ্যে একজন চালক ও তিনজন যাত্রী বেশে উঠে। মিজানুর রহমানও তিনজনকে যাত্রী ভেবে সিএনজিতে উঠেন। পথে তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হন। জানতে পেরে প্রথমে সিএনজি অটোরিকশা চালক আকিব ও মিসবাউল হককে আটক করি। পরে পলাতক তানজিদ উল হক ও আরেকজনকে ধরতে অভিযানে নামি। তানজিদ উল হককে আটক করতে আমাদের সহযোগিতা করেন তার বাবা ফেরদৌসুল হক।

এএসআই মো. হাসান তারেক বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়ে যখন ফেরদৌসুল হককে আমরা জানাই। তখন তিনি আমাদের জানান, তার ছেলে খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।

আটক তিনজন ছিনতাইসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।