প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী অন্তরে সৃষ্টিকর্তাকে ধারণ করেন

দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমনী হয় অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভশক্তির জাগরণী বার্তা জানিয়ে। করোনাকালে দেবীর আরাধনা উৎসব বাহুল্যতায় নয়, অন্তর থেকে সাত্ত্বিক পূজা নিবেদন করেই।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) জামালখান কুসুম কুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চসিক পূজা উদযাপন পরিষদের পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গাপূজার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী অন্তরে সৃষ্টিকর্তাকে ধারণ করেন। প্রতিটি ধর্মের মর্মকথা শুদ্ধাচারী জীবনাচরণ এবং শান্তিই হচ্ছে মূলবাণী। আমরা যদি সত্য, সুন্দর, কল্যাণ, সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির পূজারী হতে পারি, তা হলে মানবতার জয়গানে পৃথিবী মুখরিত হবে এবং জগৎ সংসার থেকে সব কালিমা মুছে যাবে।

চসিকের সাবেক মেয়র প্রয়াত চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৯৯৫ সালে চসিকের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সর্বপ্রথম দুর্গোৎসব উদযাপনের সূচনা করেছিলেন উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন, তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতিক এবং তিনি ধার্মিক কিন্তু ধর্মান্ধ নন। তিনি সিটি করপোরেশনে কর্মরত সব ধর্মাবলম্বীর জন্য ধর্মচর্চার পথ সুগম করে গেছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ধারণ করে। এ দেশে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করে। ধর্মে ধর্মে এমন অতুলনীয় সহাবস্থান পৃথিবীতে বিরল।

তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থবিধি মেনে দুর্গোৎসব উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দুর্গোৎসব চলাকালে শান্তি ও সম্প্রীতির অনুকূল পরিবেশ রক্ষায় চসিক সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

তিনি প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

চসিক পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের সভাপতিত্বে সভায় কুসুম কুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক চম্পা মজুমদার, পরিষদের সহ-সভাপতি আশুতোষ দে, সাধারণ সম্পাদক রতন চৌধুরী বক্তব্য দেন।