জিল্লুর ভান্ডারী হত্যা : পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ

চাঞ্চল্যকর জিল্লুর রহমান ভান্ডারী হত্যা মামলায় এক দিনে পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সাক্ষ্য দিয়েছেন ভিকটিম জিল্লুর রহমান ভান্ডারীর পোস্টমর্টেম করা চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক অপরুপ কান্তি দাস, সুরতহাল সাক্ষী এসআই গোলাম কিবরিয়া, কনস্টেবল মিজানুর রহমান, নুরুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেন।

আদালতে পোস্টমর্টেম করা চিকিৎসক অধ্যাপক অপরুপ কান্তি দাস, সুরতহাল সাক্ষী এসআই গোলাম কিবরিয়া আদালতকে জানান, ভিকটিম জিল্লুর রহমানের শরীর থেকে দুটি গুলি বের করা হয়েছিল। তার দুই পায়ের রানে দুটি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পর তার মৃত্যু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত জেলা পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় উচ্চ আদালত ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তার আলোকে বুধবার একদিনেই পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। বিচারক বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে সাক্ষীদের সাক্ষ্য নিয়েছেন। আগামী ১ নভেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়ার রানিরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে ভিকটিম জিল্লুর রহমান ভান্ডারিকে আসামিরা এলোপাতাড়ি মারধর ও গুলি করে জখম করে। পরে হাসপাতালে মারা যান জিল্লুর রহমান। এ ঘটনায় ২২ জানুয়ারি ভিকটিমের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর সিআইডি এ মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।

২০১৯ সালের ২৮ মে মামলার ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু আদেশ দেন আদালত। চার্জশিটে থাকা এ মামলার ১৩ আসামির মধ্যে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী খোকন ও জসিম কারাগারে। সাত আসামি পলাতক রয়েছে ও চারজন জামিনে রয়েছে।