উইঘুর নিপীড়ন চীনের নিন্দায় ৩৯ দেশ

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উইঘুরদের প্রতি চীনের আচরণের নিন্দা জানিয়েছে ৩৯টি দেশ। একইসঙ্গে হংকংয়ে বেইজিংয়ের কঠোর নীতিরও সমালোচনা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার সংক্রান্ত বৈঠকে এ নিন্দা জানানো হয়। খবর রেডিও ফ্রি এশিয়ার

জিনজিয়াং ও হংকং-এ চীনের আচরণের নিন্দা জানানোর এ উদ্যোগ নেয় যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। দেশ দুটির এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো দেশগুলোও শামিল হয়। তারা জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের নির্যাতনের জন্য চীনকে নিন্দা জানায়।

সম্প্রতি পাস হওয়া হংকং জাতীয় সুরক্ষা আইনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ৩৯ দেশের প্রতিনিধিরা জানান, চীনের আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতাগুলির সঙ্গে এটি খাপ খায় না।

জাতিসংঘে নিযুক্ত জার্মান দূত ক্রিস্টোফ হিউজেন বলেন, জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার ঘটনা অনেক বেশি। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই সেখানকার প্রায় ১৮ লাখ সংখ্যালঘু উইঘুরকে নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে এবং তাদের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। উইঘুর এবং জিনজিয়াংয়ের অন্য সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকেরা সরকারের দমন নীতির টার্গেটে পরিণত হয়েছে। তাদের ধরে নিয়ে বন্দিশিবিরগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।

হিউজেন বলেন, জিনজিয়াং এবং হংকংয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

জিনজিয়াংয়ে অবিলম্বে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষকদের অর্থপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার দিতে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানান হিউজেন।

যুক্তরাজ্য ও জার্মানির যৌথ বিবৃতিতে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে নতুন জাতীয় সুরক্ষা আইন কার্যকর করা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রক্রিয়াটি হংকংয়ের মৌলিক আইনকে অগ্রাহ্য করেছে এবং ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ কাঠামোর অধীনে হংকংয়ের স্বায়ত্বশাসনের সুরক্ষা চূড়ান্তভাবে লঙ্ঘন হয়েছে।

বিবৃতিতে হংকংয়ের বাসিন্দাদের অধিকার ও স্বাধীনতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত বছর যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে এমন একটি খসড়ায় স্বাক্ষর করে ২৩টি দেশ। এবার সে সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণের মতো বাড়লো।

এদিকে, দেশগুলির এমন প্রতিক্রিয়াকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বেইজিং। জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি জাং ঝুন এই বিবৃতিকে উস্কানিমূলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।