মহেশখালীতে বাড়ীর ভিতরেই বিদ্যুতের খুঁটি, আতঙ্কে বাড়ির মালিক!

, ১২ বছর ধরে আবেদন করেও সরানো যাচ্ছে না।

ফরিদুল আলম দেওয়ান- মহেশখালী।
অপরিকল্পিত ভাবে মানুষের বসত ভিটায় বাড়ী ঘেঁষে স্থাপিত পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটি সরিয়ে নিজের বাড়ীটি সংস্কার করে পূননির্মাণ করার জন্য ১২ বছর ধরে আবেদন নিবেদন করেও কাজ হচ্ছে না। যেন কে শোনে কার কথা। স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশও যেন কাজে আসছে না। ইতিপূর্বে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে পুড়েও গিয়েছিল বাড়ীটি। পল্লী বিদ্যুতের এহেন একগুয়েমির কারণে নিজের বাড়ীটি পূননির্মাণের কাজে হাত দিয়েও কাজ করতে পারছে না বাড়ীর মালিক। এমন অভিযোগটি করেছেন মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়ন আঃলীগের সিনিয়র সহসভাপতি দক্ষিণ ঝাপুয়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার পুত্র ছিদ্দিক আহমদ।
ভূক্তভোগী প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা ছিদ্দিক আহমদ পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের কাছে দেয়া তার লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁর বসত বাড়ীর একেবার সংলগ্ন সীমানায় পল্লী বিদ‍্যুতের ১৮ হাজার ভোল্টেজ লাইনের একটি খুটি রয়েছে। খুঁটিটির জন্য তারা দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ী ঘর সংস্কার করতে পারছে না। এ খুঁটিটি স্থানান্তর করে অন‍্যত্রে বসনোর জন‍্য তিনি ২০১২ সাল থেকে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিক ভাবে আবেদন জানিয়ে আসছিল পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের কাছে। তিনি অত‍্যন্ত দুঃখের সাথে জানান যে, বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ কোন ধরনের ব‍্যবস্থা না নেওয়ায় গত ১২ সালের ৬ নভেম্বর ওই খুঁটি থেকে বৈদ‍্যুতিক সট সার্কিটেরর আগুন লেগে তার বাড়ীটি একবার পুড়ে গিয়েছিল। তিনি আরো জানান, এর পরেও আমি উক্ত খুঁটিটি সরিয়ে নিতে একাধিক ভাবে জানালেও সরানো হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের একটি আবেদনের সুত্র ধরে গত ১৩ মে ২০২০ মহেশখালী জোনাল অফিসের ডিজিএম স্বাক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে তাকে জানানো হয়, আমার বাড়ীর উঠানের ওই খুঁটি স্থানান্তর করতে আবেদন ফি বাবৎ ডিজিএম কার্যালয়ে ৩৮ হাজার ৭শত ৮ টাকা জমা করতে হবে। তিনি গরিব মানুষ বিধায় ওই টাকা জমা দিতে না পারায় পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের কথা মতো বিনা খরচে খুঁটি সরানোর জন্য গত ৯ আগস্ট স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের সুপারিশ সহ ডিজিএম বরাবর আরো একটি আবেদন জমা দিলেও আজ পর্যন্ত তারা খুঁটিটি না সরানোর কারণ ছিদ্দিক আহমদের বাড়ী নির্মাণের কাজটি বন্ধ রয়েছে। ছিদ্দিক আহমদ আক্ষেপ করে বলেন, আমার বসত ভিটায় বাড়ীর দেওয়াল ঘেঁষে তাদের ইচ্ছা মতো মনগড়া খুঁটি স্থাপন করবে,আবার তা সরানোর জন্য দীর্ঘ এক যুগ তদবীর করে ব্যর্থ হয়ে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে খুঁটি সরাতে হবে কেন? তিনি অবিলম্বে তার বাড়ীর ভিতর থেকে বিদ্যুতের খূঁটিটি সরানোর জন্য বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের প্রতি দাবী জানান।