সাহেদ ও সাবরিনার ব্যাংক হিসাব জব্দ, রিমান্ডে সাবরিনা

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম এবং জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক চৌধুরী ও রিজেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ইব্রাহিম খলিলের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। পাশাপাশি সব তফসিলি ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে আাগামী ৭ দিনের মধ্যে তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। রোববার এনবিআরের সিআইসি থেকে ওই চিঠি দেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের সিআইসির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কর নথিতে থাকা তাদের আয়-ব্যয় খতিয়ে দেখতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতাল, রিজেন্ট কেসিএস, জেকেজি হেলথকেয়ার, ওভাল গ্রুপ লিমিটেডের যাবতীয় ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ওভার গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান পেশায় চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।।

৩ দিনের রিমান্ডে ডা. সাবরিনা

গ্রেপ্তারকৃত ডা. সাবরিনা আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সকালে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ চারদিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে গতকাল জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ওই হাসপাতাল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

আদেশে বলা হয়, ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।