ভারুয়াখালীতে ছিনিয়ে নেয়া আসামী ফের আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই দেবাশীষ, এসআই সনজিত সহ ৫ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপসহ ছিনিয়ে নেওয়া গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী মো. মোস্তফাকে উদ্ধার পুবর্ক ফের গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত খাইরুজ্জামান, ওসি অপারেশন মাইন উদ্দিনের নেতৃর্ত্বে একদল পুলিশ এ অভিযান চালায়। উদ্ধার হওয়া আসামী মোস্তফা ভারুয়াখালী বানিয়াপাড়া গ্রামের নাজির হোসেন প্রকাশ নাজুর ছেলে ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানের চাচাত ভাই বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছেন, বানিয়াপাড়ার নাজির হোসনের ছেলে মোস্তফার বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা ছিলো। মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত এসআই দেবাশীর্ষ সরকার, এসআই সনজিত চন্দ্র নাথ ও আমর্ড পুলিশ সদস্য আলতাফ সহ একদল পুলিশ ভারুয়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী মো. মোস্তফাকে গ্রেফতার করে। আসামী মোস্তফাকে আনার পথে একদল দুবৃর্ত্ত পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ধৃত আসামী মোস্তফাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্বরত এসআই দেবাশীর্ষ সরকার, এসআই সন্দীপ চন্দ্র নাথ ও আমর্ড পুলিশ সদস্য আলতাফ ও ২ কনষ্টেবল সহ ৫ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভতি করান। ঘটনার খবর পেয়ে র্যাব৷, বিজিবি ও পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার অপারেশন অফিসার ইন্সপেক্টর মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি সহ ওসি তদন্ত খাইরুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনার পরপরই ওই ভারুয়াখালী এলাকায় অভিযান চালায়। ব্যাপক তল্লাশী চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আসামী গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত মো. মোস্তফাকে একটি বাড়ি থেকে হ্যান্ডকাপসহ উদ্ধার করে ফের গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থলে র‌্যাব-পুলিশ ও বিজিবি যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গ্রেফতার করা আসামী রাজনৈতিক নাশকতা মামলার আসামী। তাকে ছিনিয়ে নিতে স্থানীয় বিএনপি নেতা শফিকুর রহমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন নেতৃত্বে একদল পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযানে চালায়।