‘স্বৈরাচার হতে দেশকে মুক্ত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’

চট্টগ্রামে আয়োজিত‘জাতীয়সংসদ নির্বাচন ও পেশাজীবীদেরকরণীয়’শীর্ষকআলোচনাসভায় বক্তারা বলেছেন,পরাধীনতারগ্লানি থেকে দেশকে মুক্ত করতেহলেনিজনিজঅবস্থান থেকে সবাইকেকাজকরতেহবেএবং স্বৈরাচারেরকবল থেকে দেশ এবং দেশেরমানুষকে মুক্ত করতেঐক্যবদ্ধ হতেহবে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনসাংবাদিকইউনিয়নের সম্মেলনকক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবীপরিষদ আয়োজিতসভায়বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুররহমান মেডিকেলবিশ^বিদ্যালয়েরসাবেক প্রো-ভাইসচ্যান্সেলরঅধ্যাপকআবদুলমান্নানভূঁইয়াবলেছেন, বর্তমানসরকারবিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরউপর দমন-নিপীড়নচালাচ্ছে, এই কারণেই যে সারাদেশে তাদেরসমর্থনরয়েছেমাত্র ১০-১২ ভাগ। তাইতারা যেকোনোভাবেক্ষমতাধরেরাখতেচায়। তারাযতঅত্যাচারকরবেকরুক,সাধারণমানুষ ৩০ তারিখব্যালটেরমাধ্যমেএসবঅত্যাচারেরজবাবদিবে।

আলোচনাসভায়অধ্যাপকআবদুলমান্নানভূঁইয়াবলেন, গ্রেফতারকরেবিএনপিকে দমানোযাবেনা। বর্তমানপরিস্থিতিতেমাথাঠা-া রেখেআমাদেরকাজকরতেহবে। প্রতিটি কেন্দ্রে এজেন্ট নিশ্চিতকরতেহবে। আর ৫ দিন পর আমাদেরবিজয়হবেই। বিএনপির ভোটচাওয়ারপ্রয়োজননাই। কারণসারা দেশে বিএনপির কোটি ভোটাররয়েছে। আমাদেরকাজহবেনিজের ভোটপ্রয়োগকরা।

তিনিজাতাীয়তাবাদী শক্তির সবাইকেসকল ভেদাভেদ ভুলেঐক্যবদ্ধভাবেকাজকরারআহবানজানিয়েবলেন, এই সংগ্রামশুধুখালেদাজিয়ার মুক্তির সংগামনয়, এই সংগ্রাম দেশের স্বাধীনতা মুক্তির সংগ্রাম। আমরাপরাধীনতারমধ্যে বসবাসকরছি। আমাদেরকথাবলার স্বাধীনতানাই, অর্থনৈতিক স্বাধীনতানাই, চলাফেরার স্বাধীনতানাই। এই পরাধীনতারগ্লানি থেকে দেশকে মুক্ত করতেহলেসবাইকেনিজনিজঅবস্থান থেকে কাজকরতেহবে।

ড্যাবচট্টগ্রামশাখারসিনিয়রযুগ্মসম্পাদক বেলায়েত হোসেনহালিমএরসঞ্চলনায়আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাঅধ্যাপক ড. সুকুমারবড়–য়া, ঢাকাবিশ^বিদ্যালয়শিক্ষকসমিতিসাদা দলেরসাবেকসাধারণসম্পাদকঅধ্যাপক ড. মো: আখতার হোসেনখান, দৈনিকদিনকালেরসম্পাদক ও বিশিষ্টসাংবাদিক ড. রেজওয়ানসিদ্দিকী, কেন্দ্রীয়বিএনপিরসহ-ধর্ম বিষয়কসম্পাদক এড. সিকেন দেওয়ান।

সভায়বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাঅধ্যাপক ড. সুকুমারবড়–য়া বলেন, দেশেবর্তমানেসংকটময়মুহুর্ত বিরাজকরছে। চারদিকে চলছেহামলা-মামলা ও গণগ্রেফতার। আমাদের ৩০ তারিখেরআগপর্যন্ত এই সংকট মোকাবিলাকরতেহবে। এখনআমাদেরপ্রধানকাজহবেভোট কেন্দ্রে যাওয়া, জনগণকে ভোট কেন্দ্রে যেতেউৎসাহিতকরা ও ভোটগণনা শেষ হওয়াপর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থানকরা। যেকোনো কৌশলে হোকমানুষকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যেতেহবে। মানুষে ভোটেরঅধিকারনিশ্চিতকরতেহবে। দলেরসবাইকেনিয়েমিলেমিশে এই কাজটিকরতেহবে।

আলোচনাসভায়ঢাকাবিশ^বিদ্যালয়শিক্ষকসমিতিসাবেকসাধারণসম্পাদক, সাদা দল নেতাঅধ্যাপক ড. মো: আখতার হোসেনখানবলেন, চিন্তার কোনকারণ নেই ৩০ তারিখবিএনপি নেতাকর্মীরা ভোট কেন্দ্রে থাকলেবিজয়আমাদেরহবেই। আজসরকারমারমুখীহওয়ারএকটাইকারনতাদেরহাতেসময়আছে ২৮ তারিখপর্যন্ত। ২৮ তারিখের পর রাজপথ ও সমস্তঅলিগলিজাতীয়তাবাদী দলের দখলে থাকবে। আমাদের পোস্টার, ব্যানার, লিফলেটহয়নিকিন্তু মানুষেরবুকেরমধ্যে রয়েছেধানেরশীষ। ২০০১ সালেমানুষবুকে নৌকালাগিয়েধানেরশীষে ভোট দিয়েছেএবারবুকেধানেরশীষনিয়েই ভোটদিবেসাধারণমানুষ। আপনারা দেখবেন ৩০ তারিখকীভাবেনারী-পুরুষলাইনধরে ভোট কেন্দ্রে যায়। কোন কোনজায়গায়নারীদের ভোট কেন্দ্রে না যেতেহুমকি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আজনারীরাইবলছেআমরাশতবাঁধাবিপত্তি পেরিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবোই।

জাতীয়তাবাদীআইনজীবী ফোরামচট্টগ্রামেরসভাপতি ও বারকাউন্সিলেরসদস্য এড. দেলোয়ার হোসেনেরসভাপতিত্বে আয়োজিতআলোচনাসভায় দৈনিকদিনকালেরসম্পাদক ও বিশিষ্টসাংবাদিক ড. রেজওয়ানসিদ্দিকীবলেন, সরকারনির্বাচনীফলাফলকেনিজেদেরপক্ষে নেয়ারজন্য রাষ্ট্রীয়সকল সেক্টরেঅনেকআগে থেকেই কাজকরেআসছে। রাষ্ট্রীয়প্রতিটি সেক্টরেতারা দলীয়করণকরেছে। রিটার্নিং ও পুলিশপ্রশাসনতারাঅনেকআগ থেকেই সাজিয়েছে। রিটার্নিংকর্মকর্তাচাইলে ভোটেরফলপরিবর্তনকরেদিতেপারেন। পুলিশপ্রশাসনেরদবদলনাহওয়ায়তারা বেপরোয়াহয়ে গেছে। থানারওসিনিজেইপ্রার্থীর উপর গুলিকরছে।তিনিআরোবলেন, বিচারবিভাগেই দলীয়করণেরকারনেপ্রতিটিআদালতেইকারাগারেপাঠাচ্ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের। এই অবস্থা থেকে উত্তরণেরউপায়হচ্ছেযুবকদেরকেএগিয়েআসতেহবে। ৩০তারিখ ভোটবিপ্লবেরমাধ্যমেইপরিস্থিতিপরিবর্তনকরতেহবে।

আলোচনাসভায়আরো বক্তব্য রাখেনচট্টগ্রাম-৯ বিএনপিরপ্রার্থী কারাবন্দী ডাঃশাহাদাতেরপ্রধাননির্বাচনীসমন্বয়ক এড. বদরুলআনোয়ার, এড. বদিউলআলম, ইঞ্জিনিয়ারফখরুলআলম, ড্যাবচট্টগ্রামেরসাধারণসম্পাদকডা: ঈসা চৌধুরী, আমার দেশ চট্টগ্রামেরব্যুরো প্রধানসাংবাদিকজাহিদুররহমানকচি, পেশাজীবি নেতাডা: খুরশিদ জামিল, এড. জহিরুলআলম, ডা: আবদুলমান্নান, জানেআলম, মো: সেলিম, ডা: আবুলকালাম, প্রকৌশলীএকেএমজহিরুলইসলাম, সাংস্কৃতিককর্মী ও জাসাস নেত্রী কেয়া চৌধুরী, এডভোকেটজহুর, কর আইনজীবিসমিতিরসাধারণসম্পাদকএডভোকেটওমরফারুক।