‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বাঁশখালীতে নৌকা প্রার্থী বিজয়ী হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাঁশখালীতে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেনে সাবেক মেয়র মাহমুুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, বাঁশখালী হচ্ছে বিএনপি জামায়াত ও জাতীয় পার্টির ঘাটি। এ আসনে নৌকা প্রার্থী কখনো ভোটের মাধ্যমে বিজয় লাভ করেনি।

তিনি বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে সুষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ কখনো এ আসনে জিততে পারেনি। গতকাল বাঁশখালীর চাম্বল বাজারে তার লাঙল প্রতীকের সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

শনিবার (২২ ডিসেম্বর) বাঁশখালীর চামবল বাজারে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

তিনি বলেন, পুলিশ ও বিজিবির সামনে আমার হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপর আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু ঘটনার সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভ’মিকা পালন করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা এখন অসহায়। প্রশাসনের ধারস্থ হয়েও কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না।

জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাঁশখালী আসনে লড়ছেন সাবেক এ মেয়র। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করার পরপরই তার প্রচারনায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও তার সমর্থকরা। এরই মধ্যে বাঁশখালীর বিভিন্ন জায়গায় নৌকা ও লাঙল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গতকাল উভয় প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয় এবং ৩০ জনের মতো লাঙল প্রতীকের সমর্থক আহত হয়। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

গংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাঁশখালীর জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং ভোটার মধ্যে ভীতি তৈরীর লক্ষে নৌকার প্রতীকের সমর্থকরা নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। প্রশাসন এসব কিছু দেখেও না দেখার ভান করে আছে। তারা কার্যত কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করছেনা।

গতকালকের ঘটনার জন্য চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হককে দায়ী করে তিনি বলেন, এই চেয়ারম্যান একজন সন্ত্রাসী। সে বিভিন্ন হামলা-মামলার আসামী। গতকাল তার নেতৃত্বে লাঙল প্রতীকের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপর বৃষ্টির মতো গুলি ছোড়া হয়েছে।