খাগড়াছড়িতে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে গত ৬ মাসে ১৩০টি মামলায় আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭৪টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বিনা ফিসে ১৮ কোটি টাকা উদ্ধার করে দিয়েছে জেলা আইনগত সহায়তা কেন্দ্র।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ‘দ্বন্দ্বে কোনো আনন্দ নেই, আপস করো ভাই। লিগ্যাল এইড আছে পাশে কোনো চিন্তা নাই’ এই প্রতিপাদ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শহরের প্রধান সড়ক হয়ে শাপলা চত্বর প্রদক্ষিণ করে অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে এসে শোভাযাত্রা শেষ হয়। পরে অফিসার্স ক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি জেলা লিগাল এইড কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রাজজ) মো. আজিজুল হক, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নোমান মইনুদ্দিন, খাগড়াছড়ি বার এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মালেক মিন্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, গত ৬ মাসে লিগ্যাল এইড যে ৭৪টি মামলার নিষ্পত্তি করেছে তা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আদালতে মিমাংসা হতে কমপক্ষে ৩/৪ বছর লেগে যেত। বিচার সংশ্লিষ্টদের চাপ বাড়তো। আইনজীবীসহ বিচার সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, যতটুকু সম্ভব বিচার প্রার্থীদের আপসের মাধ্যমে সমাধান করে দেবেন।
বিচারক মো. আজিজুল হক বলেন, আমার ৩০ বছরের অভিজ্ঞতায় মামলায় কোনো ব্যক্তি জিতে লাভবান হয়েছে এমন নজির দেখিনি। যদি কেউ এমন লাভবান হয়ে থাকেন তাহলে এটি অষ্টম আশ্চর্য বিষয় হবে। কবি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি গল্পের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘একটি নালা নিয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধ কোট কাচারি শেষ করে নিষ্পত্তি হলেও নালাটির যে মূল্য তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি খরচ হয়েছে’। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মামলা এমনই।
আলোচনাসভা শেষে জেলা লিগ্যাল এইড সেরা প্যানেল আইনজীবী হিসেবে মো. জসিমউদদীন মজুমদারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।