বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণে মো. কালু (৫০) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
২৫ জানুয়ারি (শনিবার) ভোরে উপজেলার সরই ইউনিয়নের ইছহাক মেম্বার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. কালু কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আক্কেল আলীর ছেলে। তিনি সরই ইউনিয়নে ইছহাক মেম্বার পাড়ায় একটি পানের বরজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় বন্যহাতির পাল লোকালয়ে খাবারের সন্ধানে প্রায় হানা দিচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় শনিবার ভোর ৪টার দিকে গহিন পাহাড় থেকে একদল বন্যহাতি ইছহাক মেম্বার পাড়ায় নেমে পড়ে। পরে হাতিগুলো ধান চালের খোঁজে একটি খামার ঘরে ঢুকে পড়ে। এসময় আক্রমণে ঘরে ঘুমে থাকা মো. কালু গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ভর্তি করেন। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. কালুকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরই ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. নাছির উদ্দিন বলেন, হাতিগুলো প্রথমে বাড়ির চারিদিকে ঘেরাও করে ফেলে। বিশেষ করে ঘরের দরজা জানালার পাশে পাহারাদারের মতো দাঁড়িয়ে থাকে। আর ঘর ভাঙা শুরু করে। পরে ঘরে থাকা ধান চাল খেয়ে ফেলে। রাত জেগে আগুনের কুন্ডলি জ্বালিয়ে বাড়ি ঘর পাহারা দিয়ে হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েও রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে হাতিগুলো ওই এলাকায় অবস্থান করছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এ. কে. এম আতা এলাহী জানান, হাতির আক্রমণে মো. কালু নামের এক শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত করে ক্ষতিগ্রস্তকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাহাড়ের খাদ্য সংকটের কারণে হাতির দল লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদত হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে আনা হয়েছে। এখনও কোনো অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল শেষে নিহত মো. কালুর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে নাকি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে তানিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।