সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও: কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় দিন দুপুরে ফসলি জমির টপসয়েল লুটসহ পরিবেশ বিধ্বংসী অপকর্ম দিন- দুপুরে চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাহারছড়া খাইচ্ছা বিলের ফসলি জমির টপ সয়েল লুটে ডজনাধিক ডাম্পার জমিতে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে মাটি ভর্তি করে বিভিন্ন এলাকায় চড়া দামে বিক্রি করছে একটি চক্র।
দিন দুপুরে স্কেভেটর দিয়ে জমির টপ সয়েল লুট কারা করছে চালকদের কাছে জানতে চাইলে খবর পেয়ে কজন যুবক দ্রুত এসে প্রতিবেদককে ম্যানেজের চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে ঐ মাটি পাশের স্কুল এবং কবরস্থানে নিচ্ছেন বলে দাবি করে। মাটি কাটায় জড়িত যুবকের মোবাইলে কল দিয়ে ঠিকাদার ফজলে রাব্বি পরিচয় দিয়ে বলেন, মাটি গুলো পাশের স্কুলের ভরাট কাজে ব্যবহার করছে। স্কুলের নির্মাণ কাজে ফসলি জমির ব্যবহার এবং ভরাট কাজে ফসলি জমির মাটি ভরাটে অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সুদুত্তর না দিয়ে প্রতিবেদকের মোবাইল নং খোঁজেন। পরে একই ব্যক্তি রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে নিজেকে এলজিইআরডি’র প্রকৌশলী দাবি করে তাকে একটু সুনজরে দেখার অনুরোধ জানান।
অপরদিকে উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পাড়ার ঘোনা পাড়া ও লালশরি পাড়ার ফসলি জমি থেকে আমান উল্লাহর নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট নিয়মিত টপ সয়েল লুট করছে। এমনতর বিষয়ে প্রশাসন জেনেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে জানান স্থানীয়রা। তারা বলেন প্রশাসনকে জানালে উল্টো রহস্যজনকভাবে থানায় মামলা করতে বলে।
চলতি শুষ্ক মৌসুম শুরুর পর থেকেই উপজেলার তিনটি পয়েন্ট থেকে রাত দিন টপসয়েল লুটে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জড়িত রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। তবে, বারবার চেষ্টা করে উপজেলা প্রশাসনের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।