লোহাগাড়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা-হত্যাচেষ্টা: ২৫ জনের নামে থানায় মামলা

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বিচারপ্রার্থীকে মারধরের প্রতিবাদ করায় ওমর ফারুক মাসুমের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর) রাতে ভিকটিম সাংবাদিক ওমর ফারুক মাসুম বাদী হয়ে হামলাকারী ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান (৪৫)-সহ ১৩ জনকে এজাহারনামীয় এবং ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে লোহাগাড়া থানায় মামলাটি করেন।

ওমর ফারুক মাসুম চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক পূর্বকোণের সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। তিনি কলাউজান ইউনিয়নের আদারচর গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- লোহাগাড়া থানার কলাউজান ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বার) ও প্যানেল চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান (৪৫), তার ছেলে কিশোরগ্যাং লিডার শওকত (২৬), রিমন (২২), এরশাদ (২৫), ইমন (১৯); নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা তৌহিদুল ইসলাম (২৩), মিজানুর রহমান (২৩), সাকিব (২২), ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন (৪৩), হোসেন সওদাগর (৪২), ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোজাফ্ফর (৪২), সাইফুল (৩৫), কিশোর গ্যাং লিডার ইলহাম কলি (২৮)।

সাংবাদিক ওমর ফারুক মাসুম বলেন, বৃহস্পতিবার কলাউজান ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিব পরিষদে সাত্তার নামের এক বিচারপ্রার্থীকে মারধর করেন। লোহাগাড়া উপজেলা সদরে যাওয়ার সময় কলাউজান ইউনিয়ন পরিষদের পাশের মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করে বের হওয়ার সময় বিচারপ্রার্থী সাত্তার বিষয়টি আমাদের অবহিত করেন। এরপর সাত্তারকে মারধরের বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ও ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মোজাফ্ফর আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। পরে পরিষদ থেকে বের হওয়ার সময় প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবের নেতৃত্বে ১০টির মতো মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে আসা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এসময় আমি ও আমার সঙ্গীয় আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. শহিদকে গুরুতর জখম করে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়।

লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, সাংবাদিক ওমর ফারুক মাসুমের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। দ্রুততম সময়ে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।