বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, কারও পদলেহন না করে, নতুন কমিশন জনগণের ভোটাধিকার ফেরাতে কাজ করুক এমনটাই চাওয়া নির্বাচন কমিশনের কাছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন গঠনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, কারও পদলেহন না করে, নতুন কমিশন জনগণের ভোটাধিকার ফেরাতে কাজ করুক এমনটাই চাওয়া নির্বাচন কমিশনের কাছে। একই প্রত্যাশার কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এদিন দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার কমিশনারকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে এ নিয়োগ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আরও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
চার কমিশনার হিসেবে যারা নিয়োগ পেলেন-সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো.আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব তাহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বিএনপি যে দুজনের নাম প্রস্তাব করেছিল তার মধ্যে এ এম এম নাসির উদ্দীনের নাম ছিল। তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যান তিনি। তিনি বিসিএস ১৯৭৯ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
সিইসি পদে বিএনপির দেয়া তালিকাতে আরেক জনের নাম ছিল, তিনি শফিকুল ইসলাম। বিএনপি চলতি মাসের শুরুতে অনুসন্ধান কমিটির কাছে এ তালিকা দিয়েছিল। আবার বিএনপির মিত্র দলগুলোর বেশির ভাগের তালিকাতেও এই দুই নাম ছিল।