দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ থাকার ৩ দিন পর আবারও উৎপাদনে ফিরেছে একটি ইউনিট; চালুর অপেক্ষায় আছে আরেকটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ৩২ মিনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যায় কেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিট।
জানা যায়, ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এ ইউনিটটি বিকেল ৫টায় চালু হয়েছে। তবে এটি উৎপাদনে যেতে আরও তিন ঘণ্টা ৩২ মিনিট সময় লাগে। বর্তমানে এটি থেকে উৎপাদিত ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে। এটি চালু রাখতে প্রতিদিন ৮০০-৯০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন পড়বে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘এক নম্বর ইউনিটটি মেরামত শেষে সাত দিন পর পুনরায় চালু করা হলো। উৎপাদিত ৬০-৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুই নম্বর ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ইলেকট্রো হাইড্রোলিক ওয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ায় তিন নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। এক নম্বর ইউনিটটি অনেক দিনের পুরনো। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে সংস্কার কাজের জন্য সেটিও বন্ধ করা হয়েছিল। মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩২ মিনিট থেকে সেটি চালু হয়।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে এ প্রকৌশলী বলেন, ‘চীন থেকে মেশিন এলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিন নম্বর ইউনিটও চালু করা সম্ভব হবে। এটি থেকে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো; যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল।’
জানা যায়, বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রর উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল। পাঁচ বছরের চুক্তি মোতাবেক আগামী বছর তাদের মেয়াদ শেষ হবে।