যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ করেছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, গর্ভপাত নিয়ে ট্রাম্পের নীতি যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের জন্য অপমানজনক। নির্বাচনি বিতর্কে যুক্তিখণ্ডনের পালায় তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একপর্যায়ে কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলেন। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের সময় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত হওয়া সরাসির বিতর্কে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তার কাছ থেকে আপনারা একগাদা মিথ্যে কথা শুনবেন।’
কমলা হ্যারিস অভিযোগ করেন, সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা আলাদা কোনো বিষয় নয় এবং তাতে ধর্ষণ ও অনাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যতিক্রমী কোনো কিছু নেই। কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, তাদের বিষয়টি উপলব্ধি করা উচিত।
কমলা হ্যারিস বলেন, ‘ধর্ষণের মতো অপরাধের শিকার একজন নারীর জন্য তার শরীরে আগামীতে কী পরিবর্তন আসতে পারে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ওই নীতিমালায় কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি।’
ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস আরও বলেন, ‘আপনাদের এ বিষয়ে কথা বলতে হবে মানুষ কী চায় তা নিয়ে। একজন গর্ভবতী নারী যিনি তার গর্ভাবস্থা ধরে রাখতে চান, হয়তো তার গর্ভের সন্তানটি নষ্ট হয়ে গেল, হয়তো কোনো পার্কিং লটে গাড়িতে রক্তাক্ত হয়ে পড়লেন তিনি….সেই অবস্থার কথা আমাদের ভাবতে হবে, ট্রাম্পের নীতিমালায় এ ধরনের ঘটনায় কী হবে ভেবে দেখুন, তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর কী হতে পারে…স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তিরা জেলখাটার ভয়ে তাকে চিকিৎসাই দেবে না।’
কমলা হ্যারিস আরও যোগ করেন, ‘কেউই চাইবে না এমনটি হোক, ওই নারীর স্বামীও চাইবেন না এমনটা হোক। পাশবিকতার শিকার ১২ থেকে ১৩ বছরের একজন মেয়েকে আপনারা কোন আইনের প্রভাবে গর্ভধারণে বাধ্য করতে পারেন? আপনি এটা চাইবেন না।’