চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নবাগত কমিশনার হাসিব আজিজের সাথে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাত, নগরীর আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো ও জানযট নিরশনে ১১ দফা প্রস্তাবনা পেশ
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নবাগত কমিশনার হাসিব আজিজের সাথে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি স্থায়ী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দীন চৌধুরী ও কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস.এম নুরুল হকের নেতৃত্বে মহাসচিব এইচ.এম মুজিবুল হক শাকুর সহ ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টায় নগরীর দামপাড়াস্থ’ পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী পরিষদের সদস্য মাজাহারুল হক শাহ্ সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইব্রাহীম, কমান্ডার ইফতেখার হাসান (রিটাঃ), লায়ন নুরুল আলম, প্রফেসর বাহার উদ্দীন জোবাইর প্রমুখ। সৌজন্য সাক্ষাতকালে সংগঠনের স্থায়ী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দীন চৌধুরী নবাগত পুলিশ কমিশনারকে চট্টগ্রামের দ্বায়িত্ব নিয়ে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ হতে সকল প্রকারের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস.এম নুরুল হক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে পরিচয় করার পর চট্টগ্রামে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জানযট নিরশনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন। কমিশনার মহদোয়ের নিকট বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ১১ দফা প্রস্তবনা পেশ করা হয়।
আইন শৃঙ্খলাপরিস্থিতির উন্নয়নে চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন, পুলিশের টহলদারী বৃদ্ধি করে, থানা গুলো পরিপূর্ণ কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা, এবং নগরীতে হাই রেজুলেশন সিসি টিভি ক্যামরা স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহন। ট্রাফিক ব্যবস্থাকে নতুন ভাবে ঢেলে সাজানো এবং অটো সিগন্যাল লাইট গুলো কার্যকর করা। দিনের বেলায় ট্রাক, ট্রলিসহ ভারি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা, চালকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করা, প্রয়োজনে চালকদের জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহন করা। জরুরী গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকসা চলাচল বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা, বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সম্মুখ হতে বহদ্দারহাট পর্যন্ত, টাইগার পাস হতে বিপনি বিতান হয়ে কোতোয়ালি থানা পর্যন্ত, লালদীঘি মোড় হতে আন্দরকিল্লাহ্, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, চকবাজার, বাদুরতলা হয়ে বহদ্দারহাট পর্যন্ত। নগরীর সড়ক গুলোতে ছোট, বড় এসি ননএসি গণ পরিবহণ বৃদ্ধি করে নির্দিষ্ট স্থানে যাত্রী উঠানামা নিশ্চিত করা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা বন্ধ করা। ছোট ছোট গণ পরিবহন বিশেষ করে সিএনজি, টেম্পু, হুইলার ও লেগুনা জাতীয় গাড়িগুলোকে রাস্তা ঘাটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কারণে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এই পরিবহন গুলোকে নিয়ন্ত্রণ ও আইন মেনে চলতে বাধ্য করা। নগরীর মোড় গুলোতে ও যত্রতত্র এলোমেলো ভাবে গাড়ি রাখার প্রবণতা দূর করা এবং রিকসা হুইলার ও ব্যাটারী চালিত গাড়ির জটলা মুক্ত করা। হকারদের পুনর্বাসন করার উদ্যোগ গ্রহন করে ফুটপাত হকার মুক্ত করা, নগরীর ফুটপাত হতে ছিন্নমূল পরিবার যথা ফকির মিসকিনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যথা মার্কেট, শপিংমল নিজস্ব পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা রাখতে বাধ্য করা। পরিস্কার পরিছন্ন নান্দনিক ফুটপাত উপহার দেয়া, ফুটপাত সহ ও সড়ক বিভাযনে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিলবোর্ড মুক্ত নগরী উপহার দেয়া, যত্রতত্র পোষ্টার, ব্যানার লাগানো বন্ধ করে নির্ধারিত স্থানে পোষ্টার ব্যানার লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।