রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু পানির নিচে, পর্যটনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে

কাপ্তাই হ্রদের পানির নিচে এখনো ডুবে আছে রাঙ্গামাটির পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে ২৬ আগস্ট থেকে সেতুটি পানিতে তলিয়ে যায়।

পারাপার বিপজ্জনক হয়ে পড়ায় সেতুটি পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ। এতে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা।

এদিকে, আয় বন্ধ থাকায় এখন প্রতিদিন গড়ে ৭০ হাজার টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা এখনো সর্বোচ্চ সীমায় রয়েছে। ফলে ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন এখনো দুই ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে।

রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘের ঝুলন্ত সেতুকে ঘিরেই। ১৯৬০ সালে কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ নির্মাণের পর ১৯৮৫ সালে দুই পাহাড়ের মাঝখানে তৈরি করা হয় এই আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতুটি। বর্তমানে সেতুটি দীর্ঘ দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকায় পর্যটন আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। কিন্তু বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি ঢল নেমে এলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। রাঙ্গামাটির পর্যটন সেতুসহ শহর এলাকায় হ্রদতীরবর্তী বসতঘর, সড়ক ডুবে যায়।

রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানিয়েছেন, ‘আয় বন্ধ থাকায় এখন দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে গড়ে ৭০ হাজার টাকার বেশি। পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে থাকায় হ্রদের পানির উচ্চতা কমছে ধীর গতিতে। হ্রদের পানির উচ্চতা কমে এলে আবারো পর্যটকদের জন্য ঝুলন্ত সেতুটি পারাপারের জন্য খুলে দেয়া হবে। তবে তা নির্ভর করছে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা কমে আসার ওপর।’