সচিবালয়ের সামনে আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে (ঢামেক) গিয়েছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড. শফিকুর রহমান।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে তিনি আহতদের দেখতে ঢামেকে পৌঁছান।
এ সময় তার সঙ্গে দলের অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ড. শফিকুর রহমান বলেন, রোববার রাতে একটা বাহিনী প্রতিবাদ করতে এসে সমস্ত আইন-কানুন ভেঙে জোর করে সচিবালয়ে ঢুকে পড়ে। সেখানে তারা গালিগালাজসহ উচ্ছৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি করে। তাদের উদ্দেশ্য খারাপ ছিল। এ কারণে যারা প্রথম সারিতে থেকে দেশকে অস্থিতিশীল থেকে রক্ষা করেছে তারা সচিবালয়ে গিয়েছিল বোঝানোর জন্য। কিন্তু ওই বাহিনীর সদস্যরা সমন্বয়কসহ ছাত্রদের মারধর করে।
জামায়াত প্রধান বলেন, একটা গণ বিক্ষোভকে ভণ্ডুল করার জন্য যে-ই আসুক, তাদের বাধা দিতে হবে। সবে কয়েকদিন হলো নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এখন এত দাবি দাওয়া কেন? এতদিন আপনার দাবি দাওয়া কোথায় ছিল? এভাবে যদি তাদের ব্যতিব্যস্ত করে তোলা হয়, উনারা তো রাষ্ট্র মেরামত করতে পারবেন না।
সবাইকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর ধৈর্য ধরতে পেরেছেন, আর কয়েকটা মাস ধরুন। উনারা একটু গুছিয়ে আনুক। তখন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আপনাদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন।
ড. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমি আশা করি সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। কারও উস্কানিতে কোনো ষড়যন্ত্রতে পা দেবেন না। যারা দেশকে ভালবাসবে, নিজের বিবেক অনুযায়ী চলবে, দেশকে পূর্ণগঠনে এগিয়ে আসবে। সবার কাছে দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি।
রোববার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণ দায়িত্বশীল হয়েছে উল্লেখ করেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, তার বক্তব্যে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিধ্বনি হয়েছে বলে মনে করছি। আমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ নাও হতে পারে, দেখতে হবে সামগ্রিকভাবে দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে কিনা। আমরা মনে করি উনারা ঠিক পথেই এগোচ্ছেন।