আদালতের রায় অনুযায়ী কোটা পদ্ধতি কার্যকর বিপিএসসির

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক ৭ শতাংশ কোটা পদ্ধতি অনুসরণ শুরু করেছে। সোমবার জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) পদের নিয়োগসংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোর ‘জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (১০ গ্রেড) পদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার (বীরাঙ্গনা) সন্তান, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের নির্ধারিত কোটার প্রার্থীদের মধ্যে যেসব প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার সময় কোটার সনদ দাখিল করেননি, তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কোটার স্বপক্ষে সত্যায়িত সনদ বা প্রত্যয়নপত্র দাখিল করার জন্য বলা হলো।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, জুনয়ির ইন্সট্রাক্টর পদে নিয়োগপ্রত্যাশীদের ২০ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে আগামী ২২ আগস্ট বিকাল ৫টা পর্যন্ত সাক্ষাৎকারগ্রহণ করবে পিএসসি।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সবশেষ রায় মোতাবেক সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে এবং কোটায় ৭ শতাংশ নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটায় ১ শতাংশ প্রার্থী নিয়োগ পাবেন।