‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির বিজয় আনতে মুুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্য চাই’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় মুক্তিযোদ্ধারা। আজ বৃহস্পতিবার চসিক কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে চট্টগ্রাম মহানগর, জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের এক মতবিনিময় সভায় একথা জানানো হয়। সভায় জেলা কমান্ডার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, নগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, বান্দরবান জেলা কমান্ডার এ বি এম আবুল কাশেম, রাঙ্গামাটি জেলা কমান্ডার রবার্ট বেনাল্ড পিন্টু,উপজেলা কমান্ডারদের মধ্যে রাউজানের আবু জাফর চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়ার খায়রুল বশর, আনোয়ারার ফজল আহাম্মদ, সাতকানিয়ার আবু তাহের, বাশখালীরআবুল হাশেম সিকাদার, সীতাকুন্ডের আলীম উল্লাহ, হাটহাজারীর নুরুল আলম, ফটিকছড়ির সামশুল আলম, সন্দীপের এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান, পটিয়ার মো. মহিউদ্দিন, বোয়ালখালীর মো. হারুন মিয়া, লোহাগাড়ার আকতার আহম্মদ সিকদার এবং জেলা ডেপুটি কমান্ডারদের মধ্যে এ কে এম সরওয়ার কামাল, আবদুর রাজ্জাক, নাসির উদ্দিন, এ কে এম আলাউদ্দিন, বদিউজ্জামান, বোরহান উদ্দিন, বাবুল মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করি তাদের জন্য আগামী নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ। কারন নির্বাচনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতাকে আবারো প্রতিহত করতে হবে। তাই ভোটযুদ্ধে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি আরো বলেন বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার। বিগত ১০ বছরে এই সরকার দেশকে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছে। এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই সরকার রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান, ভাতাবৃদ্ধি সহ অনেক কাজ করেছেন। এই সরকার পুনরায় নির্বাচিত হলে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আরো কিছু করবে। এই লক্ষ্যে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নগর উপজেলায় ট্রাকযোগে প্রচার প্রচারনা চালানোর জন্য আহবান জানান। এতে মেয়রের ব্যক্তিগত সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দীন বলেন শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মান দিয়েছে সেই জন্য তার দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধারার ঋনী। সেই ঋন আমরা দলমত নির্বিশেষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে শোধ করতে চাই। স্বাধীনতার শত্রুরা যাতে এদেশে আর ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পরে মেয়র চট্টগ্রাম বিভাগের মক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।