পুলিশ নিরপেক্ষ আচরণ করছে না: কাজল

কায়সার হামিদ মানিক,কক্সবাজার।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের বিএনপির প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল অভিযোগ করেছেন, ধানের শীষের জনপ্রিয়তায় পাগল হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। পুলিশ নিরপেক্ষ আচরণ করছেনা। আমাদের মেরে উল্টো মামলার চক্রান্ত করছে সরকারী দল।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি অভিযোগ করেন।
শহরের শহিদ সরণীস্থ দলের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল ভোট করতে মাঠে যাচ্ছেন না। ভোট ছিঁড়ে এমপি হতে চাচ্ছেন। চেয়ারম্যান ইউনুস ভুট্টো, আবদুল মাবুদসহ চিহ্নিত কিছু লোক প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে হুমকি দিচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন থেকে চলে যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আমরা নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। মাঠেই থাকবো। কোন ধরণের ভয়ভীতি পরোয়া করিনা। জনগণ আমাদের সাথে আছে।
কাজল বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে আমাদের দীর্ঘ দিনের সম্প্রীতি নষ্ট করছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল নিজেই। আমরা শক্ত মনোবলে মাঠে নেমেছি। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠেই থাকব। ফলাফল নিয়ে ঘরে ফিরব।
পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল।
তিনি বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর ধানের শীষের প্রচারণাকালে রামু উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনচারুল হককে মারধর করে উল্টো ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ধারাবাহিক হামলা মামলা শুরু করেছে। আমাদের জানামতে এ পর্যন্ত রামুতে তিনটি মামলা হয়েছে। আরো কিছু মামলা করার পরিকল্পনা করার কথা শোনা যাচ্ছে। বুধবার রাতে রামুতে বিএনপি অফিস ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পিটিয়ে অন্তত ৩০ জনকে আহত করেছে। অনেকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মিথ্যা মামলার খবর পেয়ে আহতদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেন, এ কেমন নির্বাচনী আচরণ?
কাজল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের পরিকল্পনামতে দোকানে, গাড়িতে অাগুন দিয়ে উল্টো মামলা করা হচ্ছে। আমাদেরকে নির্বাচন থেকে সরানোর অপচেষ্টা করছে। এরপরও আমরা শান্ত অাছি। ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মোঃ আলী, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা এডভোকেট সাহাব উদ্দিন, এডভোকেট মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী, এডভোকেট আবদুল কাইয়ুম, গিয়াস উদ্দিন জিকু, আমির আলী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রিপনসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।