দেখে নেওয়া যাক বৃষ্টি দিনের সুবিধা-অসুবিধা

এই মেঘ এই রৌদ্র। তবে কদিন ধরেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টিদিনের আছে কিছু সুবিধা আর আছে কিছু অসুবিধা। তবে এই সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি আপেক্ষিক। হিসেবে অসুবিধাই বেশি হবে। তবে সুবিধা- অসুবিধাগুলো একবার দেখে নেওয়া যাক:

বৃষ্টিদিনের সুবিধা: বৃষ্টির দিনে যারা ঘরে ছুটি কাটাচ্ছেন বা কাজ নেই কোনো তাদের জন্য আয়েশ করার সুযোগ। ঘরে বসে বই পড়া বা কোনোভাবে বৃষ্টি উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে।
অনেকে বৃষ্টিবিলাসের কথাও ভাবেন। নাগরিক জীবনে একটুকু আনন্দের জন্য বৃষ্টিতে ভেজা বা প্রিয়জনের সঙ্গে পরিচিত ক্যাফেতে যাওয়ার আনন্দ আলাদা।
খাদ্য-রসিকরা বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি কিংবা আয়েশি রান্নার অর্ডার দিয়ে বসেন। আর ক্লান্ত হোক বা অলস, বৃষ্টির দিন উপলক্ষে অনেক বাড়িতে রান্নায় উৎসবের আয়োজন দেখা যায়।
বৃষ্টি
বৃষ্টির দিনে ভ্যাপসা গরমের যন্ত্রণা তুলনামূলক কম।
মেঘলা দিনে রাতের ঘুমটাও হয় বেশ চনমনে। গরমের সময়ের মতো বিছানায় ওলট-পালট সময় কাটে কম।
বৃষ্টির দিন মানেই বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা। এমন দিনটাকে অন্তত অলসভাবে কাটানোর কথাই ভাবেন অনেকে।
বৃষ্টির দিনে গাছপালা বা নগরের ভবনে জমে থাকা বালি অনেকাংশে দূর হয়। সবুজ আরও উজ্জ্বল হয়। গাছে জমে থাকা বালি গাছের অক্সিজেন উৎপাদন ও সালোকসংশ্লেষণে বাধা দেয়।
বৃষ্টি দিনের অসুবিধা

যেমনটা বলেছি, বৃষ্টিদিনের অসুবিধাই বেশি। যেমন: বৃষ্টির দিনে রাস্তায় প্যাচপ্যাচে কাঁদা। হাঁটতে বিপত্তি।
সর্দি, কাশি ও সংক্রামক রোগটাও বৃষ্টির দিনে অনেক বাড়তে পারে।
ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে দিনে ঘরের ভেতর আর্দ্রতা কাঠের আসবাবের ক্ষতি করতে পারে।
বৃষ্টিতে ভিজে অনেকে অসুস্থ হয়ে যান।
রাস্তায় কাঁদা বাদেও জলাবদ্ধতা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়৷ বাড়ে যানজট।
বৃষ্টি
শহরে বৃষ্টির দিনে গণ-পরিবহনে জায়গা পাওয়া অনেক দুষ্কর হয়ে ওঠে। আচমকা রিকশা আর অন্যান্য পরিবহন ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। তখন আরও বিপত্তি বাঁধে।
বৃষ্টির দিনে রেইনকোট আর ছাতা হাতে না নিয়ে বের হওয়াই বিপদ। আর বাড়তি এই জিনিসপত্র বহন করাটাও কষ্ট।
মশার উপদ্রব নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হয়।
রাস্তা থাকে নীরব। আর প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র কেনার জন্য ফুটপাতেও পাওয়া যায় না দোকান।
অসুবিধা বা সুবিধা যেমনই হোক, বৃষ্টির দিন নিয়ে অনেকের মধ্যেই আনন্দ রয়েছে। স্বাগতম জানানোর প্রসঙ্গ রয়েছে। তাই বৃষ্টিদিনের অসুবিধা ছাপিয়ে হৃদয়ের বক্তব্য অনেকাংশে প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়ায়।