শিশু আয়নীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তি

পাহাড়তলী থানার মুরগী ফার্ম আলম তারারপুকুর পাড় এলাকায় শিশু আবিদা সুলতানা আয়নীকে ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার মো. রুবেল।

বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে রুবেল এ স্বীকারোক্তি দেন।

গ্রেফতার মো. রুবেল, নগরের পাহাড়তলী থানার কাজিরদিঘী ডা. নজির বাড়ির মৃত আব্দুল নূরের ছেলে। তিনি পেশায় তরকারি বিক্রেতা ও দুই সন্তানের জনক।

নিহত শিশু আবিদা সুলতানা আয়নী (১০), একই এলাকার নূর ভবন হুদা মিয়ার বাসার আবুল কাশেমের মেয়ে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, গ্রেফতার রুবেল ধর্ষণের পরে শিশু আয়নীকে গলাটিপে হত্যার পর মরদেহ ডোবাতে ফেলে দেন বলে দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার পিবিআই সন্দেহবশত তরকারি বিক্রেতা মো. রুবেলকে আটক করে। এরপর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আয়নী হত্যার বিষয়ে তথ্য মেলে। প্রথমে পিবিআয়ের কাছে ঘটনার বর্ননা দেন রুবেল। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে নগরের পাহাড়তলী থানার মুরগী ফার্ম আলম তারারপুকুর পাড় এলাকায় শিশু আবিদা সুলতানা আয়নীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো। এ সময় আয়নীর কালো একটি গেঞ্জি, এক জোগান স্যান্ডেল, একটি কালো পায়জাম ও একটি গাড় নেভী ব্লু-রংয়ের হিজাব উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক শরমিন জাহানের আদালতে গ্রেফতার মো. রুবেল বিড়ালছানা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আবিদা সুলতানা আয়নীকে অপহরণ করার অভিযোগে শিশুটির মা বিবি ফাতেমা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি আদালত পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসেবে নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।