স্কিন ক্যান্সারের সচেতনতায় সমুদ্রসৈকতে নগ্ন নরনারী

স্কিন ক্যান্সার বা ত্বকের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রতি বছরের মতোই ‘আর্টওয়ার্ক’ উপস্থাপন করলেন মার্কিন ফটোগ্রাফার স্পেন্সার তিউনিক। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে আইকনিক স্থান বলে পরিচিত জায়গায় ব্যাপক আকারে নগ্ন নারী-পুরুষকে উপস্থাপন করে আর্ট প্রদর্শনের জন্য সারা দুনিয়ায় পরিচিত। তার ডাকে সিডনির বন্ডি বিচে শনিবার খুব সকালে সমবেত হন প্রায় আড়াই হাজার নরনারী। তারা স্বেচ্ছায় শরীর থেকে সব পোশাক খুলে ফেলে একেবারে জন্মসময়ের সাজে সাজলেন। সেই অবস্থায় নিজেদের মেলে ধরলেন ক্যামেরার সামনে। নিয়মিত ত্বক পরীক্ষা করাতে অস্ট্রেলিয়ানদের উদ্বুদ্ধ করাতে সর্বশেষ এই প্রজেক্ট সম্পন্ন করেন স্পেন্সার তিউনিক। প্রথমবারের মতো ওই সমুদ্রসৈকতে প্রকাশ্যে নগ্ন হওয়ার আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্বে যেসব দেশে ত্বকের ক্যান্সার ভয়াবহ, তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া শীর্ষে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা ওই সমুদ্রসৈকতে গিয়ে সমবেত হতে থাকেন। ত্বকের ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির এই সপ্তাহে দাতব্য সংস্থা স্কিন চেক চ্যাম্পিয়নস এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে স্পেন্সার তিউনিককে।

তিনি বলেছেন, স্কিন ক্যান্সারের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির সুযোগ আছে আমাদের। আমি এমন আয়োজন করতে পেরে সম্মানীত বোধ করছি। নারী-পুরুষ আমাদের ডাকে এসেছেন। আমার আর্টে অংশ নিয়েছেন। তারা শরীর এবং তা সুরক্ষিত রাখার বিষয়কে সেলিব্রেট করেছেন।
এ ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন ৭৭ বছর বয়সী ব্রুস ফিশার। তিনি বলেছেন, আমার জীবনের অর্ধেক সময় সূর্য্যরে আলোতে কাটিয়েছি। পিঠে ছোটখাট কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। মনে হয়েছে এটা হয়েছে ভালোর জন্যই। বন্ডি বিচে পোশাক খুলে ফেলা আমি খুব পছন্দ করি।