টাঙ্গাইলে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ৬

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন। গতকাল দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু-টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্বর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একতা পরিবহনের দ্রুতগতির একটি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতুর গোলচত্বর এলাকায় পৌঁছালে অপর একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হন। আহত হন ১৫-২০ জন। পরে আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়াও মুমূর্ষু অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এক নারীকে ঢাকায় রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক।

এদিকে এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক আতাউল গনি ও পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। অপরদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাশেমকে প্রধান করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন- হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধি, বিআরটিএ প্রতিনিধি এবং জেলা পুলিশের প্রতিনিধি। টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ নবীন বলেন, হাসপাতালে ৩ জনের লাশ রয়েছে। আর ৩ জনের লাশ থানায় রয়েছে। এদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম জহিরুল ইসলাম। তিনি কুষ্টিয়া অঞ্চলের বিএডিসি (সার বিভাগ) যুগ্ম পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি পাবনা। এলেঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাইক্রোবাসে আটকে থাকা মৃত ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও শিশু রয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, এ ঘটনায় অতিরক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। মৃতদেহ সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যককে নগদ ২০ টাকা করে দেয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে তা তদন্ত কমিটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন পেশ করবে।