সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার বঙ্কিম বাজারে একটি ইলেকট্রনিক্স দোকানে বড় চুরির ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিন পর মালিকপক্ষ টের পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে আটক করে। পরে স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় তাকে পিতার কাছে হস্তান্তর করেছে। গত শনিবার বিষয়টি মালিক পক্ষের নিকট জানাজানি হয়।
অভিযোগে জানা গেছে, ঈদগাঁও বঙ্কিম বাজারে মেসার্স ইউসুফ এন্টারপ্রাইজ নামে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রির একটি দোকান রয়েছে। দোকানটির মালিক জালালাবাদ ইউনিয়নের লরাবাগ গ্রামের মৃত হাজী এমতাজ আহমদের পুত্র আবছার কামাল। দোকানে দীর্ঘদিন কর্মচারী হিসাবে চাকুরী করে আসছে ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পাড়া গ্রামের ছৈয়দুল হকের পুত্র মোঃ মোবারক। মালিক পক্ষের অগোচরে সে দোকান থেকে বিআরবি ক্যাবলস কোম্পানির সাত কয়েল তার ও স্টককেক চুরি করে বিক্রি করে দেয়।
অভিনব উপায়ে তারের ভেতরের তামাগুলো সে পার্শ্ববর্তী এক যুবকের কাছে বিক্রি করে। প্রতি কেজি ৯০০ টাকা হারে বিক্রি করেছে বলে সে তদন্তে আসা পুলিশ কর্মকর্তা এস,আই মাহবুবের নিকট স্বীকার করে। দীর্ঘ এক মাস যাবত সে দোকানে এভাবে তার থেকে তামা বের করে বিক্রি করেছে বলে জানায়।
তবে মালিক আবছার কামাল তার দোকান থেকে কয়েক লক্ষ টাকার ইলেকট্রনিক মালামাল চুরি করেছে বলে দাবি করেন। ঘটনাটি তিনি জালালাবাদের মেম্বার নুরুল হুদা ও মেম্বার মুজিবুর রহমানকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে অভিযুক্ত কর্মচারীর পিতা ও মাতা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তার নিকট অভিযুক্ত কর্মচারী নিজের কৃতকর্মের জন্য ভুল স্বীকার করে বলেন, গরিবের সংসার বিধায় লোভের বশবর্তী হয়ে সে এ অপকর্ম করেছে। মালিকপক্ষ তাকে যে শাস্তি দেয় সে তা মেনে নিবে এবং সে ভবিষ্যতে এ ধরনের গর্হিত কাজে জড়াবো না বলে অঙ্গীকার করেন।
জালালাবাদের ইউপি মেম্বার নুরুল হুদা ঘটনাটির সুরাহা করা হচ্ছে বলে জানান।
দোকান মালিক আবছার জানান, উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কর্মচারীকে তার এলাকার স্থানীয় মেম্বার আমির হোছাইনের মধ্যস্থতায় পিতা-মাতার কাছে দেয়া হয়েছে।
ঈদগাঁও থানার এস,আই মাহবুব আলম জানান, কর্মচারী যেহেতু অকপটে স্বীকার করেছে এবং ক্ষতিপূরণ দিতে সেও তার পিতা-মাতা প্রস্তুত আছে সেহেতু স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য উপস্থিত সুধীগণ অনুরোধ জানিয়েছেন। এরপরও দোকান মালিক লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
