শফিউল আলম, রাউজান ঃ রাউজানে হালদা নদী, কর্ণফুলী নদী, সর্তার খাল, ডাবুয়া খাল, রাউজান খাল, মুকছড়ি খাল, মঙ্গলছড়ি খাল, ফটিকছড়ি খাল, হরনাথ ছড়া খাল, কলমপতি খাল, খাসখালী খাল থেকে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন চলছে ।
পাওয়ার পাম্প বসিয়ে সর্তা খাল, ডাবুয়া খাল, খাসখালী খাল, রাউজান খাল, রইছড়ি খাল ও কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদী থেকে পাওয়ার পাম্প ও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় এলাকার মানুষের বসতঘর, ফসলী জমি, সড়ক ভাঙ্গনে নদী ও খালে বিলিন হচ্ছে । রাউজানে নদী ও খাল থেকে বালু উত্তোলন কারীরা বালুমহল ইজারা না নিয়ে বালু উত্তোলন করায় সরকার কোটি টাকার বেশী রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।
অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে প্র্াকৃতিক মৎস প্রজনন হালদা নদীর মা মাছের প্রজনন হুমকির মুখে পড়েছে । নদী ও খাল থেকে উত্তোলন করা বালু ট্রাক ও জীপ ভর্তি করে সড়ক দিয়ে পরিবহন করায় সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ও গর্ত সৃষ্টি হয়ে সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে ঝুকি নিয়ে । সর্তার খাল থেকে পাওয়ার পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে জনবহুল চলাচলের সড়কে সর্তা খালের উপর হলদিয়া হজরত আলী হোসেন শাহ সেতু, আমির হাট বাজারের পাশে দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কে সর্তার খালের উপর আমির হাট ব্রীজ, পশ্চিম ডাবুয়া গণির ঘাট সড়কে সর্তার খালের উপর গণির ঘাট ব্রীজ, চিকদাইর নোয়াজিশপুর সড়কে সর্তার খালের উপর শাহ সুফি নুরুল হক শাহ ব্রীজ, চিকদাইর নোয়াজিশপুর সড়কে নতুন হাটের পাশে সর্তার খালের উপর হজরত আকবর শাহ ব্রীজ, চিকদাইর গহিরা আতুরনি দোকান সংযোগ সড়কে সর্তার খালের উপর সৃষ্টি মহাজন ব্রীজ, রাউজানের পশ্চিম গহিরা ইছাপুর সড়কে সর্তার খালের উপর ইছাপুর সেতুর গোড়ালীর পিলার এর নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সর্তার খালের উপর নির্মান করা ৭টি ব্রীজ ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে । ঝুকিপুর্ণ ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন যানবাহনে করে হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে চলাচল করছে । সর্তার খালের উপর ঝুকিঁপুর্ণ ব্রীজ গুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে পুনঃনির্মান ও মেরামত করার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে বলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, প্রস্তাব পাঠানোর পর ঝুকিঁপুর্ণ ব্রীজ পুনঃনির্মান ও মেরামতের জন্য অনুমোধন পায়নি । নদী ও খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় বর্ষার মৌসুমে সর্তা খালের ভাঙ্গন বৃদ্বি পেয়ে এলাকার মানুষের বসতঘর ফসলী জমি খালে বিলিন হয়ে আসছে । একই ভাবে হালদা নদীর ভাঙ্গনে রাউজানের গহিরা ইউনিয়নের কাজী পাড়া কোতোয়ালী ঘোনা, রাউজান পৌরসভার পশ্চিম গহিরা বদুর ঘোনা, মঘাশাস্ত্রি বড়ুয়া পাড়া, অংকুরী ঘোনা, দক্ষিন গহিরা, গহিরা জামতল, বিনাজুরী ইউনিয়নের পশ্চিম বিনাজুরী, কাগতিয়া, গোলজার পাড়া, কাসেম নগর, আজিমের ঘাট, মগদাই, পশ্চিম আবুর খীল, খলিফার ঘোনা, উরকিরচর, মইশকরম, হারপাড়া, সার্কদা, মোকামী পাড়া, কচুখাইন এলাকার বাসিন্দাদের বসতঘর, ফসলী জমি নদীতে বিলিন হয়ে আসছে । কর্ণফুলী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় নেয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন, চৌধুরী হাট ঘাটকুল, ঝিকুটি পাড়া, পালোয়ান পাড়া, ছমিদর কোয়াং, উভলং, বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচঁখাইন, পাচখাইন দরগাহ বাড়ী, লাম্বুর হাট, খেলার ঘাট, সওদাগর পাড়া, কোয়ে পাড়া এলাকার বাসিন্দ্বাদের বসতবাড়ী ফসলী জমি কর্ণফুলী নদীতে বিলিন হয়ে আসছে । কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদীর ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিপুল পরিমান অর্থ ব্যায় করে পাথরের ব্লক বসিয়ে বাধ নির্মান করলে ও অনেক স্থানে বাধ নির্মান করা হয়নি। যেসব স্থানে বাধ নির্মান করা হয়েছে বালু খোকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ভাঙ্গনরোধে নির্মান করা বাধ ধসে পড়েছে কিছু কিছু এলাকায় । রাউজানে নদী ও খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অংছিং মারমা বলেন, কয়েকদপে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন বন্দ্ব ও বালু উওেত্মালনকারীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে । বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে । অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্বে অভিযান চলবে ।