মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে পতেঙ্গা সৈকতে সুজন

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। পুরো একসপ্তাহ কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে নানা শ্রেণি পেশার কর্মজীবী মানুষজন ছুটির দিনে একটু অবকাশ যাপন ও বিনোদনের জন্য প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে সমুদ্র সৈকত, পাহাড়,পর্বত ও সবুজেঘেরা প্রকৃতির কাছে ছুটে। কিন্তু সবার ছুটি মিললেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের প্রাত্যহিক জীবনধারায় যেন ছুটি নাই ! ভোর থেকে রাত অবধি ছুটছেন নগরবাসীর সুখ-দুঃখের খোঁজ নিতে। ব্যবস্থা নিচ্ছেন দ্রæত। ব্যতিক্রম ছিলোনা আজ শুক্রবারও। ভোরের শীতের কনকনে ঠান্ডা, ঘণকুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল ৮ টায় তিনি ছুটেন মহেষখালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে। এই কর্মসূচি শেষে জুমার নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের পর দু’ঘন্টার বিশ্রাম নিয়ে দুপুর ২টায় আবার তিনি ছুটে গেলেন নগরীর ফয়’স লেকের কনকর্ড এমিউজমেন্ট পার্ক ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। উদ্দ্যেশ্য ছুুটির দিনে এই বিনোদন স্পটগুলোতে বেড়াতে আসা ভ্রমণপিপাসু নাগরিক ও দর্শনার্থীরা করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসুরক্ষায় মাস্ক পরিধান করেছে কিনা তা তদারকি করা। আর এই কাজে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসককে সহযোগীতা করছে রেডক্রিসেন্ট ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিনসিসি)’র সদস্যরা।
ফয়’স লেকর কনকর্ড এমিউজমেন্ট পার্ক ফয়’স লেক পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন মানুষের মাস্ক পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এই দুই স্পটে বেড়াতে যাওয়া ভ্রমণ পিাপাসু দর্শনার্থীদের সচেতন হয়ে মাস্ক পরিধান করায় ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমাদের সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে মানুষের জীবনকে লকডাউন না করে, করোনাকে লকডাউন করার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারিভাবে করোনা মোকাবেলায় নেয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ। আমরাও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সচেনতন করতে নগরীর পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছি। চেকপোস্ট গুলোতে পরিদর্শনকালে দেখা যায় মানুষজন শতভাগ মাস্ক পরিধান করে বাইরে বের হয়েছেন। মানুষের এই সচেতনতা ও মানসিকতার পরির্বতন আশাব্যঞ্জক। আমাদের এই মাস্কপরিধান নিশ্চেতের সচেতনতা কার্যক্রমে সার্বিকভাবে সফল করতে সহায়তা করেছেন বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা । তাদের ধৈর্য্য, ত্যাগ ও শ্রমের কারণে করোনা সচেতনতায় মাস্ক পরিধান সুনিশ্চিতের এই কার্যক্রম মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যসুরক্ষার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। আশাকরি এই সচেতনতা রক্ষা করার মাধ্যমে মহান বিজয়ের মাসে মুক্তিযুদ্ধের মত আমরা করোনাকেও জয় করবো।