সেন্ট মার্টিনসে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

সেন্ট মার্টিনস প্রতিনিধি::

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনসে পর্যটকদের ভ্রমণ সীমিত এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করা হলে বিপুলসংখ্যক স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ী জীবিকা হারাবে। এমনকি হুমকির মুখে পড়বে পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারীরাও। তাই সেন্ট মার্টিনস নিয়ে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে- ট্যুর অপারেটরস্ অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক)।

টুয়াক নেতারা বলেছেন, সেন্ট মার্টিনস দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমণ সীমিতকরণ বা রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলে পর্যটন শিল্পে নিয়োজিত সাত-আটটি জাহাজ, ২০০-৩০০ বাস-মিনিবাস, ১০০ মাইক্রোবাস, ২০০ ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান, ৪০০ ট্যুরিস্ট গাইড এবং দ্বীপের ১২০টি হোটেল-কটেজ ও ৭০টি রেস্তোরাঁয় কর্মরতদের জীবন-জীবিকা বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা উপস্থাপন করেছে পর্যটনভিত্তিক সংগঠন টুয়াক।

টুয়াক সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন কার্যকরী কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মুফিজুর রহমান মফিজ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট পর্যটনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এক জুমমিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রতিদিন মাত্র এক হাজার ২৫০ পর্যটক সেন্ট মার্টিনসে দিবাকালীন ভ্রমণ করতে পারবেন; কিন্তু রাত্রি যাপন করতে পারবেন না।

টুয়াক নেতারা বলেন, আমরা দৃঢ়চিত্তে বলতে চাই, আমরা দ্বীপবাসী এবং দ্বীপনির্ভর পর্যটন ব্যবসায়ী দ্বীপকে অনেক ভালোবাসি এবং দ্বীপের পরিবেশ বিষয়ে অনেক সচেতন আছি। পর্যটন বাঁচিয়ে সেন্ট মার্টিনস দ্বীপের প্রতিবেশ সংরক্ষণে সরকারি যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমরা সার্বিক সহযোগিতায় প্রস্তুত আছি। টুয়াক নেতারা এ রকম সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টুয়াকের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এম এ হাসিব বাদল, উপদেষ্টা কামরুল ইসলাম, সৈয়দুল হক কোম্পানি, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম কিবরিয়া খান, সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ার কামাল, যুগ্ম সম্পাদক আল আমীন বিশ্বাস, মুনীবুর রহমান টিটু ও এসএ কাজল প্রমুখ।