চমেক হাসপাতালে দুই দফায় ৭০ জনের বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক: চমেক হাসপাতালে দুই দফায় ৭০ জন কর্মচারীকে বদলি।

এ ছাড়া আরও ২৮১ জন কর্মচারীর বদলির আদেশ তৈরি করা হচ্ছে। চলতি মাসে তাদেরও বদলি করা হতে পারে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিয়মমাফিক বদলি করা হচ্ছে, যাতে হাসপাতালে সেবার গতি বাড়ে।

‘অনেকে ১৫-২০ বছর পর্যন্ত একই স্থানে চাকরি করছেন। দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকায় সহজে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করছে অনেক কর্মচারী। এজন্য হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনরা এসব কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযোগ দিচ্ছে’ যোগ করেন ওই কর্মকর্তা।

জানা গেছে, এর আগে কখনও চমেক হাসপাতালে এমন গণহারে বদলি করা হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশের সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানের পর নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। এজন্য গণহারে সবাইকে বদলি করা হচ্ছে।

তবে কর্মচারীদের অভিযোগ, অকারণেই বদলির শিকার হচ্ছেন তারা। মেডিসিন বিভাগ থেকে বদলি হয়ে গাইনি বিভাগে যাওয়া এক অফিস সহায়ক বলেন, কিছুদিন আগে ওই বিভাগে বদলি করা হয়েছিল। বছর না যেতেই আবারও বদলি।

অন্যদিকে বদলি হওয়া অনেক কর্মচারী পূর্বের কর্মস্থলে ফিরতে তদবির শুরু করেছেন। তারা কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন অসুবিধার কথা বলে বদলি আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানাচ্ছেন।

হাসপাতালের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, এটা নিয়মমাফিক বদলি। হাসপাতালের প্রয়োজনে যাকে যেখানে প্রয়োজন বদলি করা হচ্ছে।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, বদলিগুলো হাসপাতালের স্বার্থে করা হচ্ছে। এজন্য কর্তৃপক্ষ যাকে যেখানে প্রয়োজন মনে করছে তাকে সেখানে বদলি করছে।

তিনি বলেন, ‘যাদের বদলি আদেশ হয়েছে তাদেরকে সে আদেশ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। নয়তো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‘শুরুতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বদলি করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’ বলেন ডা. আখতারুল ইসলাম।