লোহাগাড়া প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ঘরবন্দী হতদরিদ্র, দিনমজুর, মধ্যবিত্ত, নিন্ম মধ্যবিত্ত, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাকর্মী, দলের নিহত নেতাকর্মীদের পরিবার, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসচ্ছল নেতাকর্মীদের পরিবার, করোনা আক্রান্তের পরিবার, অসহায় জেলে পরিবার, হিন্দু-বৌদ্ধদের পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারে উপহার সামগ্রী বিতরণের পর এবার উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৫ জন সহকারী শিক্ষকও পেল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের মানবিক উপহার। শুক্রবার (১৫ মে) দুপুরে উপজেলা ইউআরসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের হাতে উপহার হিসেবে ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। এসব ইফতার ও সেহেরী সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ছোলা, তৈল, চিনি, সেমাই ও সাবান।
উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত থেকে তদারকি করেছেন আমিনুল ইসলামের ব্যাক্তিগত সহকারী মিরান হোসেন মিজান । এ সময় লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অাবুল কালাম অাজাদ, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বার, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মজুমদার হিরুসহ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা জন্মষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন মজুমদার জানান, করোনার কারণে লকডাউনে থাকা উপজেলার প্রাথমিকের বেশকিছু সহকারী শিক্ষক আমাকে তাদের খাদ্যাভাবের বিষয়টি জানালে আমি আমাদের প্রিয় নেতা আমিনুল ইসলামকে ফোন করি। তিনি সাথে সাথেই আমাকে তালিকা প্রস্তুত করতে বলেন এবং পরদিনই শিক্ষকদের জন্য মানবিক উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেন। আমি সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বার ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানকে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১১৫ জন সহকারী শিক্ষকদের পরিবারে এসব মানবিক উপহার বিতরণ করেছি।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন কর্মী হিসেবে প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চলমান করোনার সংকটময় মুহুর্তে আমার প্রাণপ্রিয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের ঘরে মানবিক উপহার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এটি আমার ব্যাক্তিগত সামর্থ্যের মধ্যে ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। দেশের এ সংকটময় মুহুর্তে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের পাশাপাশি শিক্ষকদের পাশে থাকতে পেরে আমি নিজেকে গর্ববোধ করছি
