খুটাখালীতে নির্মানাধিন ২ বসতঘর গুড়িয়ে দিল বনবিভাগ

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার: কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের খুটাখালী বনবিট এলাকায় বন বিভাগের জায়গা দখল করে নির্মানাধিন ২ বসতঘর গুড়িয়ে দিল বনবিভাগ।

১২ নভেম্বর (বুধবার) সকালে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের সেগুনবাগিচায় বিট কর্মকর্তা নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সদ্য নির্মানাধিন স্থানীয় ফরিদুল আলম ও মাঈনুদ্দীনের পাকা বসতঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযানে বনবিটের এফজি, হেডম্যান, ভিলেজার ও পাহারা দলের সদস্যরা অংশ নেন।

বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, বর্নিত এলাকার ফরিদ ও মাঈননুদ্দীন বনের জমি দখল করে বসতঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি বনবিভাগের নজরে আসলে প্রাথমিকভাবে তাদের বাঁধা দেয় এবং স্থানীয়রা তাদের পিছু নেয়।

সর্বশেষ কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ মারুফ হোসেনের নির্দেশে বুধবার সকালে বিট কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঐ এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় নির্মানাধিন ২ টি বসতঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়।

অভিযোগ উঠেছে, ঐ এলাকায় লোকজন দীর্ঘদিন ধরে বসতি করে আসলেও স্থানীয়দের পারিবারিক বিরোধের কারনে বারবার বলির পাঁঠা হচ্ছেন সাধারন মানুষ। তাদের সাথে বনবিভাগের দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। এমনকি স্থানীয় অনেকে মামলা হামলার শিকারও হয়েছেন।

তবে ফরিদ এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বসতঘর নির্মাণ করেছি সত্য। কিন্ত আরো অনেকে বন বিভাগের জায়গায় এভাবে বসতঘর নির্মাণ করেছেন। আমি আংশিক জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছি। তাও বনবিভাগের লোকজন বাধা দেওয়ার কারনে কাজ বন্ধ রেখেছি। আমি ও চাই বন বিভাগের জায়গা থেকে সকলে উচ্ছেদ হউক।

খুটাখালী বনবিট কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বনবিভাগের জায়গায় ঘর বাধার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে নিষেধও করা হয়েছে। নিষেধ অমান্য করায় বসতঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশিক আহসান বলেন, যে সব লোকজন বনবিভাগের জায়গা দখল করে বসত ঘর নির্মানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দখল করেছেন, তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতে অভিযান চালানো হবে।