মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু,কাপ্তাই(রাঙামাটি): কাপ্তাই উপজেলাধীন ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ফসলি জমিতে পূর্বের ন্যায় এবারও তামাক চাষ করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো মৌসুমের শুরু থেকে কাপ্তাইয়ের ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধু মাত্র ওয়াগ্গা ইউনিয়নে ফসলি জমিতে তামাক চাষ করা হয়েছে। তামাক কোম্পানি গুলোর লোভনীয় ফাঁদে পড়ে চলতি মৌসুমেও তামাক চাষ করা হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমির পাশাপাশি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং ওয়াগ্গা ছড়ার খাস জমিতে তামাক চাষের আবাদ করা হয়েছে। সংরক্ষিত বনের পাশে ও খাল বা নদীর পাশে তামাক চাষের ব্যাপারে সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা বর্তমানে কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। এব্যাপারে দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ছেনা।
অভিযোগ উঠেছে ব্রিটিশ আমেরিকা টোব্যাকো, ঢাকা টোব্যাকো ও আবুল খায়ের টোব্যাকোসহ বেশ কিছু কোম্পানি চাষিদের তামাক পোড়ানোর সরঞ্জাম সরবরাহ ও অগ্রিম টাকা দেয়ার প্রলোভনে ফেলে পরিবেশ বিধ্বংসী এই তামাক চাষে নামিয়ে দিচ্ছে। কৃষি জমিতে তামাক চাষের ফলে মৌসুমে বোরোর আবাদ ও রবিশস্য উৎপাদনে ব্যাপক বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে শুরু হবে তামাক পোড়ানোর কাজ। এলক্ষ্যে বনাঞ্চলের আশপাশে ও লোকালয়ে আগে ভাগেই নির্মাণ করা হচ্ছে তামাক চুল্লির কাজ। পরবর্তী এই তামাক চুল্লিতে পোড়ানো হবে হাজার হাজার মন সংরক্ষিত বনের কাঠ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, রবিশস্যের চেয়ে তামাক চাষে কিছু টাকা বেশি পাওয়া যায়। তাই তামাক চাষ করছি। কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইমরান আহমেদ জানান, সরকারি ভাবে তামাক চাষ বন্ধে এখনো কোন ধরনের দিক নির্দেশনা নেই। কাপ্তাইয়ে আমার যোগদান করার আগে থেকেই ওয়াগ্গা ইউনিয়নে আড়াই একর ফসলি জমিতে তামাক চাষ করা হচ্ছে। আমি যোগদানের পর তামাক চাষে নিরুৎসাহিত এবং চাষ বন্ধে জেলা, উপজেলার মাসিক সভায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমানে ইউনিয়নের দেড় একর জমিতে তামাক চাষ করা হচ্ছে। তিনি জানান, তামাক চাষিকে কৃষি অফিসে ডেকে আনা হলে চাষি শাহআলম অঙ্গীকার করেন আগামীতে আর ফসলি জমিতে তামাক (বিষ) চাষ করবেন না।