মহেশখালী প্রতিনিধি: অবৈধ বালি মহাল, সৃজিত প্যারাবন সাবাড় করে মৎস্য প্রকল্প, মহেশখালী ছাড়া ও কক্সবাজার, চট্টগ্রাম,ঢাকা শহরে বিভিন্ন স্থানে মালিক থেকে ভুয়া বায়ানামা চুক্তি দেখিয়ে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প থেকে ভরাট ও আওয়ামী লীগের নামে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার পৌরসভার বাসিন্দা মৃত আব্দুল করিমের পুত্র মইনুল ইসলাম খোকনের বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে উল্লেখিত বিষয় উল্লেখ করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি সচেতন লোকজন বলে নির্ভেযোগ্য জানগেছে।

মুলত খোকন এক সময় কক্সবাজার শহরে ছোট্ট একটি কাগজ ফটোকপি করার দোকান করতো। নুন আনতে পান্তা পুরায় অবস্থা ছিল। ঐ সময়ে দোকানের অন্তরালে জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা ব্যবসার সাথে। ইয়াবার সাথে যুক্ত হয়ে অল্প দিনে বেশ কিছু কালো টাকার মালিক বনে যায়। এর পরে টাকার জোরে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। এক পর্যায়ে সফল হয়ে সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের আস্তাভাজন ও ঘনিষ্ঠজন হয়ে উঠে। বিভিন্ন অনুষ্টানে খানাপিনার আয়োজনে জাহাঙ্গীর কবির নানককে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে আপ্যায়ন করতে দেখা গেছে অটেল টাকার মালিক খোকনকে।
একদিকে নানক অন্যদিকে চীফ হুইপ ঘনিষ্ঠজন হওয়ার সূত্রে একচ্ছত্র
ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে এই খোকন।
এদিকে হাসিনা সরকার পতনের আগে এসব ব্যবসা একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁর। দেশের বিভিন্ন স্থানে করেছেন যথেষ্ট চাঁদাবাজি। মেগা প্রকল্প থেকে ভরাট ও আওয়ামী লীগের নাম দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের ঘনিষ্ঠজন হওয়ার সুযোগে অনৈতিক আরো অনেক ব্যবসার মাধ্যমে তিনি কয়েক’শ কোটি টাকার মালিক বনেছেন।
মুলত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘনিষ্ঠ হবার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে তার ব্যবসায়ীক শিয়ারধার দাবী করে আসছিলেন। সেই সঙ্গে জাহাঙ্গীর কবির নানকের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা করে হয়েছেন অঢেল টাকার মালিক হয়েছেন খোকন। অভিযোগ রয়েছে, এই বিপুল টাকা থেকে বিশাল একটি অংশ চলে যেত নানকের কাছে ও বিভিন্ন সময় তিনি আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সমাবেশ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে আওয়ামীলীগকে সহায়তা করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানিয়েছে।
আওয়ামীলীগের সাবেক চিফ হুইপ নূরে আলম লিটনের আশীবাদপুষ্ট হয়ে আর পিছে ফিরিয়ে থাকাতে হয়নি। লিটনের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের ত্রাস সৃষ্টি করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেন। তিনি স্থানীয়দের মাঝে এলাকায় বালু খোকন নামে পরিচিত। সে জাহাঙ্গীর কবির নানক ও চিফ হুইপ নুরে আলম চৌধুরী লিটনের নাম ভাঙ্গিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার অবৈধভাবে সরকারি বালি লুটপাট করার জনশ্রুতি রয়েছে।
অন্যদিকে রাতারাতি বোল্ট পাল্টিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সমন্বয়ক ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। মুলত নিজেকে নিরাপদ রাখতে এসব কাজ শুরু করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রকাশ।
অপরদিকে গত ৫ আগস্ট কোটা সংস্কার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশেন পট পরিবর্তনের পর তার বড় ভাই রেজাউল করিম রাজুকে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য বিশাল অঙ্কের টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে। খোকনের বিরুদ্ধে অতি সত্বর তদন্ত পূর্বক শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবি মনে করছেন অনেকে। দূর্নীতি কমিশন দুদকের খোকনের ব্যাপারে তদন্তে করলে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন অনেকে। আবার একটি সূত্র বলছে খোকন যে কোন মুর্হুতে হাফ ছেড়ে বাঁচতে দেশত্যাগও করতে পারে।
তিনি মহেশখালী দ্বীপের পশ্চিমে সৃজিত প্যারাবন নিধন করে ঘের নির্মানের অভিযোগ উঠলে অদৃশ্য কারনে তিনি বন বিভাগের মামলা থেকে পার পেয়ে যান।
মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ জানান, খোকন নামে কারে বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেনি, কোন অপরাধের সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হলে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।











