কক্সবাজারে চালু হলো ‘অনলাইন বাস টার্মিনাল’ সেবা

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন, ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা রোধ এবং যাত্রী ও পর্যটকদের ভোগান্তি লাঘবে চালু হয়েছে ‘অনলাইন বাস টার্মিনাল’ সেবা।

আধুনিক বাস ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ হিসেবে পর্যটকসহ সাধারণ যাত্রীদের জন্য এ সেবা চালু করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগ। যার ওয়েব ঠিকানা www.obtcoxsbazar.com।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের প্রধান সড়কের সুগন্ধা পয়েন্ট মোড়ে জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ডিজিটাল বাস সার্ভিস সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ ফিতা কেটে ও শ্বেত কপোত উড়িয়ে ‘অনলাইন বাস টার্মিনাল’ সেবার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রহমত উল্লাহ বলেন, ‘পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রতিদিনই দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজারো ভ্রমণ পিপাসু মানুষের সমাগম ঘটে। দেশের অন্তত ৪০টিরও বেশি জেলার সঙ্গে কক্সবাজারের বাস যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজারে ৯০টির অধিক পরিবহন কোম্পানির প্রায় ৮ শতাধিক বাস প্রতিদিন যাতায়াত করে। কিন্তু জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বাস পার্কিংয়ের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৭০টি। এছাড়া বাস সার্ভিসগুলোর নিজস্ব কাউন্টার রয়েছে ২৫টির মত। এতে অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, যানজট, ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা, যাত্রী ও পর্যটকদের ভোগান্তির চিত্র নিত্যদিনের।’

মূলত জেলার পরিবহন খাত ও ট্রাফিক বিভাগে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক পুলিশের এ উদ্যোগ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ পর্যটন নগরীতে বাস পরিবহন সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই ‘ডিজিটাল বাস ব্যবস্থাপনার’ উদ্যোগ নিয়েছে। যার নাম দেয়া হয়েছে- অনলাইন বাস টার্মিনাল।’

রহমত উল্লাহ জানান, অনলাইন বাস টার্মিনাল নামের এই ওয়েব ঠিকানা ব্যবহার করে পর্যটকসহ যেকোনো যাত্রী দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে নিজের পছন্দ মতো টিকেট সংগ্রহ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন। পাশাপাশি বাসের ফিটনেসসহ চালকদের তদারকি এবং মালিকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন, নিরাপত্তা জোরদার ও সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

জেলা ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পরিবহন শ্রমিক নেতা খোরশেদ আলম শামীম, গ্রিন লাইন পরিবহন সার্ভিসের ইনচার্জ সুলতান আহমদ ও পরিবহন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল আলম ও কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) প্রতিষ্ঠাতা হাসিবুল ইসলাম বাদলসহ অনেকে।