‘১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসীতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত
সংবাদের বিষয়ে আইআইইউসি কর্তৃপক্ষের প্রতিবাদ ও বক্তব্য
১৯ আগস্ট ২০২৩ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসী বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদটি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
এ সংবাদে আইআইইউসি’র ফার্মেসী বিভাগের নামে যেসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে, যা সঠিক নয়। আইআইইউসিকে এমন কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। বরং এক্রিডিটেশন নবায়ন করা হয়েছে। শিরোনামে নিষেধাজ্ঞা উল্লেখ করায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তাই বিভ্রান্তি নিরসনে আইআইইউসি কর্তৃপক্ষ বক্তব্য প্রদানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে।
আইআইইউসির বক্তব্য হলো, আইআইউসির ফার্মেসি বিভাগ বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের অ্যাক্রিডিটেশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদনের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল সম্প্রতি আইআইইউসি’র ফার্মেসী বিভাগ পরিদর্শন করে। সংস্থাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের অ্যাক্রিডিটেশন নবায়ন করেছে। পাশাপাশি তারা ফার্মেসী বিভাগের সামগ্রিক উন্নয়নে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এই পরামর্শগুলো বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, আইআইইউসি’র ফার্মেসী বিভাগে পর্যাপ্ত দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ল্যাব, পর্যাপ্ত ক্যামিকেলের ব্যবস্থা ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত। এছাড়া কর্তৃপক্ষ মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করার জন্য রিসার্চ ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য ল্যাবরেটরী আধুনিকায়ন করেছে। ইতোমধ্যে ঐচখঈ ‘র মত অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ফার্মেসি বিভাগে আমদানী করেছে। এসব যন্ত্রপাতি দেশের প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবেই কেবল আছে।
আইআইইউসি কর্তৃপক্ষ, দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। আমরা উক্ত বিভ্রান্তিকর সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই।
এমতাবস্থায় আমাদের এ বক্তব্য ছাপিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনের আহ্বান জানাচ্ছি এবং অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণ থেকে আইআইইউসি’র নাম প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
